রাজ্যের মহিলাদের জন্য ফের আশার আলো। অগস্ট মাস থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতার অঙ্ক বাড়তে পারে বলে জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। যদি এই তথ্য সত্যি হয়, তবে উপকৃত হবেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলা, বিশেষত ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে থাকা নারীরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার ২০২১ সালে মহিলাদের আর্থিক সুরক্ষার লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু করেছিল। তখন থেকেই প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়। বর্তমানে সাধারণ জাতির মহিলারা পাচ্ছেন ১০০০ টাকা করে এবং তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলারা পাচ্ছেন ১২০০ টাকা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে নতুন খবর অনুযায়ী, এবার এই ভাতা আরও বাড়তে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো নানা পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, অগস্ট মাস থেকেই সাধারণ শ্রেণির মহিলারা পাবেন ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলারা পাবেন ১৮০০ টাকা করে। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অফিসিয়াল ঘোষণা আসেনি।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি আরও দৃঢ় করতে পারে। বহুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বলে আসছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শুধুই ভাতা নয়, এটা মহিলাদের ‘সম্মান’।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কাদের জন্য চালু করা হয়েছে?
এই প্রকল্প রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলাদের জন্য, যারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নন।
২. বর্তমানে কত টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে?
সাধারণ জাতির মহিলারা ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলারা ১২০০ টাকা করে পান প্রতি মাসে।
৩. নতুন ভাতার অঙ্ক কত হতে পারে?
সূত্র অনুযায়ী, অগস্ট মাস থেকে সাধারণ মহিলারা ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি মহিলারা ১৮০০ টাকা করে পেতে পারেন।
৪. এই ভাতা বাড়ার কথা সরকার কি নিশ্চিত করেছে?
না, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অফিসিয়াল ঘোষণা করা হয়নি।
৫. কবে থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে পারে?
যদি সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে আগামী অগস্ট মাস থেকেই এই নিয়ম চালু হতে পারে বলেই জল্পনা।
এই ভাতা রাজ্যের বহু পরিবারের মাসিক বাজেটে একটি স্থায়ী সহায়তা হিসাবে কাজ করছে। করোনা পরবর্তী সময়ে কাজ হারানো বহু মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বস্তি পেয়েছেন। তাই ভাতা বৃদ্ধির এই সম্ভাব্য খবর ঘিরে রাজ্যে তৈরি হয়েছে প্রবল আগ্রহ।
যদিও সরকার এখনও কিছু জানায়নি, তবুও মহিলারা আশায় বুক বাঁধছেন। হয়তো এই অগস্টেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে আরও কিছুটা স্বস্তির অর্থ।