Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

OBC তালিকা থেকে বাদ, এবার EWS কোটায় জায়গা পাচ্ছেন মুসলিমরা, বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার

পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষণ নীতিতে নতুন মোড়। রাজ্য সরকারের সদ্য প্রকাশিত ইডব্লিউএস (EWS - Economically Weaker Section) সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। একদিকে যেখানে সাধারণ শ্রেণির আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের…

Avatar

পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষণ নীতিতে নতুন মোড়। রাজ্য সরকারের সদ্য প্রকাশিত ইডব্লিউএস (EWS – Economically Weaker Section) সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। একদিকে যেখানে সাধারণ শ্রেণির আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করার কথা বলা হয়েছে, অন্যদিকে কিছু নির্দিষ্ট মুসলিম জাতিকে তালিকাভুক্ত করায় উঠে এসেছে পক্ষপাতের অভিযোগ।

কী বলছে নতুন বিজ্ঞপ্তি?

রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ইডব্লিউএস হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই জেনারেল ক্যাটাগরির হতে হবে এবং তার বার্ষিক পারিবারিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম হতে হবে। সম্পত্তির দিক থেকেও কিছু শর্ত রাখা হয়েছে—জমির পরিমাণ ৫ একরের কম এবং বাড়ির আয়তন সর্বাধিক ১০০০ বর্গফুট হতে হবে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হল, সংরক্ষণের আওতা থেকে বঞ্চিত সাধারণ শ্রেণির মানুষদের জন্য আর্থিক ভিত্তিতে সুযোগ তৈরি করা। আবেদন প্রক্রিয়াও করা হয়েছে আরও সহজ। আবেদন করা যাবে অনলাইন ও অফলাইন, দুই পদ্ধতিতেই।

মুসলিম জাতির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক কেন?

এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকটি বিশেষ জাতির নাম, যার মধ্যে রয়েছে বেলদার মুসলিম, খোট্টা মুসলিম, মুসলিম সরদার, ভাটিয়া মুসলিম ইত্যাদি। এই তালিকাভুক্তিকেই কেন্দ্র করে উঠেছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দাবি যে, রাজ্য সরকার মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘গোপনে’ ইডব্লিউএস-এর মাধ্যমে সংরক্ষণ দিচ্ছে, ওবিসি-র জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে এসে।

কতটা সত্য এই অভিযোগ?

সরকারি স্তরে এই নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ইডব্লিউএস তালিকায় অন্তর্ভুক্তির শর্ত একান্তভাবেই সম্পত্তি ও আয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত। ধর্ম বা জাতি কোনও নির্ধারক নয়। তবুও, নির্দিষ্ট মুসলিম জাতিগুলির নাম থাকা নিয়েই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপের।

আবেদন প্রক্রিয়া কীভাবে হবে?

  1. অনলাইনে আবেদন: অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে।

  2. প্রয়োজনীয় নথিপত্র: আয়ের শংসাপত্র, জমির দাগের তথ্য, আবাসনের বিবরণ ইত্যাদি আপলোড করতে হবে।

  3. অফলাইনে আবেদন: সংশ্লিষ্ট ব্লক বা মহাকুমা অফিস থেকে ফর্ম নিয়ে তা জমা দেওয়া যাবে।

  4. জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ: নতুন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে প্রশাসনিক দফতরে।

  5. সুবিধাভোগী বাছাই: সরকার জানিয়েছে, যোগ্য আবেদনকারীদের যাতে কোনওরকম জটিলতায় না পড়তে হয়, তার জন্যই প্রক্রিয়া সরলীকরণ।

FAQ: সাধারণ প্রশ্নোত্তর

১. ইডব্লিউএস কারা হতে পারে?
এসসি, এসটি বা ওবিসি নয়—এমন সাধারণ শ্রেণির মানুষ, যাদের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম এবং নির্দিষ্ট সম্পত্তি সীমার মধ্যে রয়েছেন।

২. মুসলিম জাতি কি এবার ইডব্লিউএস-এ সরাসরি ঢুকছে?
সরকারি ভাবে ধর্ম নয়, বরং আয় ও সম্পত্তি ভিত্তিক শর্তই মূল নির্ধারক। তবে কিছু মুসলিম জাতির নাম থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

৩. আবেদন কোথায় করা যাবে?
অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের ওয়েবসাইটে অনলাইনে এবং ব্লক/মহাকুমা অফিসে গিয়ে অফলাইনে আবেদন করা যাবে।

৪. ইডব্লিউএস সার্টিফিকেট কাদের কাজে লাগে?
শিক্ষা, সরকারি চাকরি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার জন্য এই শংসাপত্র প্রয়োজন।

৫. এই সিদ্ধান্তে ওবিসি নীতিতে কি প্রভাব পড়বে?
সরকার বলছে, এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ক্যাটাগরি। তবে কিছু মহল মনে করছে, ওবিসি নীতিতে এই পদক্ষেপের প্রভাব পড়তে পারে।

About Author