Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

DA Hike: DA মেটানো আটকাতে নতুন চাল? কী পরিকল্পনায় নবান্ন, উঠছে প্রশ্ন

বকেয়া মহার্ঘভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে আবারও উত্তাল রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে মামলার রায় সামনে আসার অপেক্ষায় যখন গোটা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী, ঠিক তখনই উঠল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রাজ্য সরকার…

Avatar

বকেয়া মহার্ঘভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে আবারও উত্তাল রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে মামলার রায় সামনে আসার অপেক্ষায় যখন গোটা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী, ঠিক তখনই উঠল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রাজ্য সরকার পরিকল্পিতভাবে এই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে চাইছে বলে আশঙ্কা করছেন সরকারি কর্মীরা।

পরিকল্পিত বিলম্ব? শেষ মুহূর্তে ত্রুটিপূর্ণ আবেদন করার আশঙ্কা

সরকারি কর্মীদের দাবি, রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে শেষ মুহূর্তে একটি ত্রুটিপূর্ণ MA (Modification Application) জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাঁদের আশঙ্কা, এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট যখন সংশোধনের নির্দেশ দেবে, তখন রাজ্য সরকার আরও কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় পেয়ে যাবে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

রাজ্য সরকারের সম্ভাব্য কৌশল কী কী?

কর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী, রাজ্য সরকার কয়েকটি নির্দিষ্ট কৌশল অবলম্বন করতে পারে:

  1. শেষ মুহূর্তের আবেদন: মামলার শুনানির নির্ধারিত দিনটির ঠিক আগেই MA জমা দিয়ে সময় নষ্ট করার পরিকল্পনা।

  2. বকেয়া সংক্রান্ত বিভ্রান্তি: কে কত দিনের ডিএ পাওয়ার যোগ্য, সেই বিষয়ে দ্বিধা তৈরি করে প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলা।

  3. কিস্তিতে ডিএ দেওয়ার প্রস্তাব: রাজ্য সরকার তিন কিস্তিতে বকেয়া দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানাতে পারে।

এই কৌশলগুলিকে ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপণের পন্থা বলেই মনে করছেন কর্মীরা।

কর্মীদের প্রস্তুতি ও বার্তা

সরকারি কর্মচারীদের মতে, সরকার যাই করুক, আদালতের রায় তাঁদের পক্ষেই যাবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস তাঁদের। এমনকি, কেউ কেউ আশাবাদী যে আদালত ৫০% ডিএ দেওয়ার নির্দেশও দিতে পারে এবং তার বাস্তবায়ন কঠোরভাবে মনিটর করা হবে।

এই প্রেক্ষিতে কর্মীদের একাংশ আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রয়োজনে কাজ বন্ধের মতো কঠোর আন্দোলনে নামার কথাও বলা হয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের কৌশল রুখে দেওয়া সম্ভব।

দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগও তুলেছেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকার সমর্থক কিছু কর্মচারী সংগঠনকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যেমন, বাড়ির কাছাকাছি পোস্টিং, অফিস টাইমে ছাড়, এবং নানা প্রশাসনিক সুবিধা।

এই ধরনের বৈষম্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলছে।

সাধারণ পাঠকদের জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:

প্রশ্ন ১: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাব্য দিন কবে?
উত্তর: নির্দিষ্ট দিন এখনো প্রকাশ্যে আসেনি, তবে কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, তার আগেই MA ফাইল করতে পারে রাজ্য সরকার।

প্রশ্ন ২: বকেয়া ডিএ কত দিনের এবং কত শতাংশ?
উত্তর: এই নিয়ে সরকার ও কর্মীদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও, অনুমান করা হচ্ছে কয়েক বছরের বকেয়া রয়েছে, এবং তা ৩২% থেকে ৫০% পর্যন্ত হতে পারে।

প্রশ্ন ৩: রাজ্য সরকার কিস্তিতে ডিএ দিতে চাইলে আদালতের কী ভূমিকা হবে?
উত্তর: আদালত সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বাস্তবতা ও আইনি যুক্তির ভিত্তিতে। তবে কর্মীরা এর বিরুদ্ধে আইনি প্রতিবাদ করবেন বলেই জানিয়েছেন।

প্রশ্ন ৪: সরকারি কর্মীরা কী ধরনের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন?
উত্তর: প্রয়োজনে দপ্তর স্তরে কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতারা।

প্রশ্ন ৫: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কতটা গুরুতর?
উত্তর: কর্মীদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট সংগঠনকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে, যা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

About Author