নতুন চাকরির আশায় চোখে নতুন স্বপ্ন! নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-৩-এ আইটিসি-র বিশ্বমানের আইটি ও আইটিইএস ক্যাম্পাসকে দেওয়া হল অকুপেন্সি সার্টিফিকেট। এই প্রকল্প রাজ্যে কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে চলেছে — এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশের অন্যতম preferred investment destination হওয়ার পথে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now১৭ একর জমির উপর তৈরি এই সুসজ্জিত আধুনিক ক্যাম্পাসের জমি বরাদ্দ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (WBHIDCO)। প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই ক্যাম্পাসে থাকছে তিনটি অত্যাধুনিক ভবন—একটি হাইরাইজ অফিস টাওয়ার, একটি বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার এবং একটি নলেজ সেন্টার। সব মিলিয়ে ১৪.৫ লক্ষ বর্গফুটেরও বেশি জায়গা ইতিমধ্যেই তৈরি।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে এই ক্যাম্পাসে সরাসরি ৫০০০-এরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রাজ্য সরকারের আশা, এই উদ্যোগের ফলে বহু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা পশ্চিমবঙ্গকে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে ভাববে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্যাম্পাস শুধু চাকরির সুযোগই নয়, বরং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, স্টার্টআপ সংস্কৃতির প্রসার এবং ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কলকাতার তথ্যপ্রযুক্তি মানচিত্রে এটি হতে পারে এক নতুন মাইলফলক।
জানুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
১. এই নতুন ক্যাম্পাস কোথায় তৈরি হয়েছে?
নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-৩-এ এই আইটি ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছে।
২. এই প্রকল্পে মোট কত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে?
প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এই প্রকল্পে।
৩. ক’টি ভবন থাকছে এই ক্যাম্পাসে?
এই ক্যাম্পাসে তিনটি ভবন রয়েছে—অফিস টাওয়ার, বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার ও নলেজ সেন্টার।
৪. কতজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে প্রাথমিকভাবে?
প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫০০০ জনের সরাসরি কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
৫. এই প্রকল্প রাজ্যের জন্য কী অর্থবহন করছে?
এই প্রকল্প রাজ্যে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তি বিনিয়োগে নতুন দিশা দেখাবে।
আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো ও সরকারি উদ্যোগ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে ভারতের অন্যতম প্রযুক্তিকেন্দ্র হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে” — আর সেটাই রাজ্যের ভবিষ্যতের অর্থনীতির জন্য আশার আলো।