রথযাত্রার আগে দীঘা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে ফেলেছেন? তবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে এল এক বড় সুখবর। উৎসবের ভিড়ে যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ফের বাড়ানো হলো পাঁশকুড়া-দীঘা স্পেশাল লোকাল ট্রেনের সময়সীমা। দীঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ অনেকটাই বেড়েছে, আর সেই চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই এই সিদ্ধান্ত।
গত ৯ এপ্রিল থেকে চালু হয়েছিল পাঁশকুড়া থেকে দীঘাগামী ও দীঘা থেকে পাঁশকুড়াগামী দুটি স্পেশাল লোকাল ট্রেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এই ট্রেন পরিষেবা ৮ জুন পর্যন্ত চালু থাকার কথা ছিল। তবে যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রথমে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত করা হয়। এবার রথযাত্রার আগে ফের একবার সময়সীমা বৃদ্ধি করে ১০ জুলাই পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপাঁশকুড়া-দীঘা প্যাসেঞ্জার স্পেশাল প্রতিদিন সকাল ১১টা নাগাদ ছাড়বে। অপরদিকে, দীঘা-পাঁশকুড়া লোকাল ট্রেন রওনা দেবে দুপুর ২:৫০ মিনিটে। ট্রেনটি পথে পাঁশকুড়া জংশন, রঘুনাথবাড়ি, রাজগড়া, শহীদ মাতঙ্গিনী, তমলুক, নন্দকুমার, লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক, দেশপ্রাণ, হেরিয়া, নাচিন্দা, কাঁথি, শীতলপুর, সুজলপুর, আশাপূর্ণা দেবী, বাদলপুর, রামনগর টিকরা হয়ে দীঘায় পৌঁছাবে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সরোজকুমার ঘড়া জানিয়েছেন, ‘‘এই পদক্ষেপে আমরা খুশি। তবে আমরা চাই, এই ট্রেন পরিষেবা স্থায়ী করা হোক।’’ দীঘার মত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে যাত্রীদের সুবিধার্থে এমন লোকাল পরিষেবা অত্যন্ত জরুরি বলেও মত তাঁর।
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ):
১. কবে পর্যন্ত চালানো হবে পাঁশকুড়া-দীঘা স্পেশাল লোকাল ট্রেন?
এই ট্রেনের সময়সীমা আপাতত ১০ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
২. প্রতিদিন ক’টা সময় ট্রেন ছাড়বে পাঁশকুড়া ও দীঘা থেকে?
পাঁশকুড়া থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ১১টায় এবং দীঘা থেকে ছাড়বে দুপুর ২:৫০ মিনিটে।
৩. ট্রেনটি কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে?
ট্রেনটি মোট ১৮টি স্টেশনে দাঁড়াবে, যার মধ্যে রয়েছে তমলুক, নন্দকুমার, কাঁথি, রামনগর টিকরা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ।
৪. রথযাত্রার সময় কেন এই বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে?
রথযাত্রার সময়ে দীঘায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। সেই চাপ সামলাতেই এই অতিরিক্ত ট্রেন পরিষেবা।
৫. এই ট্রেনগুলো স্থায়ী হবে কি?
এই মুহূর্তে ট্রেন দুটি অস্থায়ীভাবে চালানো হচ্ছে। তবে স্থায়ী করার জন্য যাত্রী সংগঠনগুলি রেলের কাছে আবেদন জানিয়েছে।