বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় রাস্তায় দেখা যেত মারুতি ওমনি—চলতি গাড়ি, মালবাহী ভ্যান, কখনও অ্যাম্বুল্যান্স। এবার সেই পুরনো ওমনি পেল একেবারে নতুন জীবন। দেশের একদল ছাত্র মিলে তৈরি করলেন তার সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক সংস্করণ, তাও মাত্র আড়াই লক্ষ টাকার কম খরচে!
ছাত্রদের এই অভিনব প্রকল্প প্রমাণ করল—কম বাজেটেই পুরনো গাড়িকে নতুনভাবে তৈরি করে বানানো যায় ইলেকট্রিক গাড়ি। পরিবেশবান্ধব ভাবনার সঙ্গে যুক্ত হল প্রযুক্তির সহজলভ্যতা। পুরনো গাড়িকে সস্তায় রূপান্তর করার এই ভাবনা ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থাকে এক নতুন দিশা দেখাতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই ইলেকট্রিক ওমনি চালিত একটি ২.৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইলেকট্রিক মোটরে, যার দুটি মোড রয়েছে—একটি গতি (Speed) ও অপরটি টর্ক (Torque)-এর জন্য। একবার পুরো চার্জে এটি প্রায় ৯০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৪৫ কিমি।
খরচের বিবরণ:
বডি ওয়ার্ক: ₹৪০,০০০
ড্রাইভট্রেন: ₹৬০,০০০
ব্যাটারি প্যাক: ₹৮০,০০০
পেন্ট ও অন্যান্য খরচ: ₹১৫,০০০ + অতিরিক্ত ছোটখাটো খরচ
গাড়ির ভিতরের অংশেও আনা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পরিবর্তন। থাকছে Android player, MOMO স্টিয়ারিং হুইল, ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড, উন্নত সাউন্ড সিস্টেম এবং লেদার সিট। বাইরের দিকেও LED হেডলাইট, DRL, পড লাইট, নতুন বাম্পার, রেড অ্যাকসেন্টসহ ম্যাট ব্ল্যাক রঙ এবং কাস্টম অ্যালয়-স্টাইল হুইল।
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল—এই গাড়িতে বসতে পারবেন একসঙ্গে ১০ জন! কারণ পিছনের ছাদটি খোলা রাখা হয়েছে, যা এটিকে একটি খোলা মিনিভ্যানের চেহারা দিয়েছে। এই প্রকল্প শুধু একটি রূপান্তর নয়, বরং ভবিষ্যতের এক সম্ভাবনাময় বিকল্প। রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা পুরনো গাড়িকে পরিবেশবান্ধব এবং উপযোগী রূপে ফিরিয়ে আনার এক নিখুঁত উদাহরণ বলা যায় একে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. ইলেকট্রিক মারুতি ওমনির সর্বোচ্চ গতি কত?
ঘন্টায় ৪৫ কিমি পর্যন্ত গতি তুলতে সক্ষম।
২. একবার চার্জে কত দূর যেতে পারবে গাড়িটি?
প্রায় ৯০ কিমি পর্যন্ত চলবে একটি সম্পূর্ণ চার্জে।
৩. গাড়িটি রূপান্তর করতে মোট কত খরচ হয়েছে?
মোট খরচ হয়েছে ₹২.৫ লক্ষ টাকারও কম।
৪. এই গাড়িতে ক’জন বসতে পারবেন?
১০ জন পর্যন্ত আরোহী বসতে পারবেন।
৫. কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এতে?
২.৫ কিলোওয়াট ইলেকট্রিক মোটর, Android ড্যাশবোর্ড, LED লাইটিং, এবং উন্নত অডিও সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে।