ভারতীয় রেলে যাত্রী ভিড় এবং ওয়েটিং লিস্ট সমস্যা বহু দিনের। সেই সমস্যা মেটাতে অবশেষে বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল বোর্ড। ২০২৫ সালের ১৬ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে এক নতুন নিয়ম, যার ফলে প্রতিটি কোচে ওয়েটিং টিকিটের সংখ্যা কড়া ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিটি ট্রেনের কোচে মোট আসন সংখ্যার সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ওয়েটিং টিকিট ইস্যু করা যাবে। অর্থাৎ, কোনও ৩-টায়ার এসি কোচে যদি ৭২টি আসন থাকে, সেখানে সর্বাধিক ১৮টি ওয়েটিং টিকিট ছাড়া যাবে। এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে সব শ্রেণির যাত্রার ক্ষেত্রেই—স্লিপার, ৩AC, ২AC, ১AC এমনকি Tatkal এবং রিমোট লোকেশন বুকিংয়ের উপরও।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআগে অঞ্চলভিত্তিক নিয়মে কোথাও ২০%, কোথাও ৪০% পর্যন্ত ওয়েটিং ছাড়ার অনুমতি ছিল। ফলে জনপ্রিয় রুটগুলিতে ৫০০ থেকে ৭০০ পর্যন্ত ওয়েটিং টিকিট দেখা যেত। সেই অব্যবস্থা এখন বদলাতে চলেছে। নতুন এই নীতি চালু হওয়ার ফলে ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মে ভিড় কমবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য রেল মন্ত্রক CRIS-এর সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে গোটা সিস্টেমে পরিবর্তন এনেছে। এই নিয়ম শুধু যাত্রার প্রাথমিক স্টেশনেই নয়, মধ্যবর্তী স্টেশন বা অন-রুট বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
এই পরিবর্তনের ফলে কী সুবিধা মিলবে? প্রথমত, নিশ্চিত টিকিটধারী যাত্রীদের যাত্রা অভিজ্ঞতা হবে আরও স্বস্তিদায়ক। দ্বিতীয়ত, ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মে যাত্রীসংখ্যা কম থাকায় RPF বা রেল সুরক্ষা বাহিনীর উপর চাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে। এছাড়া, টিকিট কাটতে আগ্রহী যাত্রীদের মধ্যেও অনিশ্চয়তার পরিবেশ কিছুটা হলেও কমবে।
কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
১. নতুন নিয়ম অনুযায়ী কত শতাংশ পর্যন্ত ওয়েটিং টিকিট ইস্যু করা যাবে?
– সর্বাধিক ২৫% পর্যন্ত।
২. এই নিয়ম কবে থেকে কার্যকর হয়েছে?
– ১৬ জুন, ২০২৫ থেকে।
৩. কোন কোন শ্রেণির যাত্রায় এই নিয়ম লাগু হবে?
– সব শ্রেণিতে: স্লিপার, ৩AC, ২AC, ১AC এবং Tatkal।
৪. রিমোট লোকেশন বা মাঝপথে ওঠা যাত্রীদের ক্ষেত্রেও কি এটি প্রযোজ্য?
– হ্যাঁ, একই নিয়ম সব স্টেশনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
৫. এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য কী?
– অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা ও নিশ্চিত টিকিটধারীদের সুবিধা নিশ্চিত করা।