পূর্ব ভারতে প্রথমবারের মতো চালু হতে চলেছে সম্পূর্ণ এয়ার-কন্ডিশনড লোকাল ট্রেন। আর সেই ঐতিহাসিক রেক এসে পৌঁছেছে রাণাঘাট স্টেশনে। এই এসি লোকাল রেক চালু হওয়ার পর সেলদা–রাণাঘাট রুটের যাত্রীরা পাবেন সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। পশ্চিমবঙ্গের উপনগর রেল পরিষেবায় এটি এক বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রেল দফতর।
চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া এই আধুনিক এসি রেকটিতে রয়েছে ১২টি স্টেইনলেস স্টিলের কোচ। একটি রেকে মোট যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় ১১১৬ জন। প্রতিটি কামরায় থাকছে স্বয়ংক্রিয় দরজা, জিপিএস-ভিত্তিক যাত্রী তথ্য প্রদর্শন ব্যবস্থা, আরামদায়ক আসন, প্রশস্ত অভ্যন্তরীণ পরিসর এবং অ্যালুমিনিয়ামের লাগেজ রাখার শেলফ।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowট্রেনটির বাহ্যিক চেহারা অনেকটা মেট্রো রেলের মতো। প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অন্য কোথাও দরজা খোলার সুযোগ নেই। এই আধুনিক নকশা যাত্রী নিরাপত্তার পাশাপাশি শহুরে পরিবহনে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুরুর পর্যায়ে এই এসি রেকটি সেলদা ডিভিশনের অধীনে চলবে এবং মূলত সেলদা থেকে রাণাঘাট পর্যন্ত রুটে পরিষেবা দেবে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও একাধিক এসি লোকাল রেক আসার প্রক্রিয়া চলছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়মিত পরিষেবা শুরু হবে।
যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি প্রশ্ন ও উত্তর:
এই এসি লোকাল ট্রেন কবে থেকে যাত্রী পরিবহণ শুরু করবে?
→ রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষেবা শুরু হবে। সঠিক দিন শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
এই এসি ট্রেনে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে?
→ থাকছে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, স্বয়ংক্রিয় দরজা, জিপিএস তথ্য ব্যবস্থা, আরামদায়ক বসার জায়গা এবং লাগেজ রাখার আলাদা শেলফ।
কোন রুটে এই ট্রেনটি চলবে?
→ প্রথম পর্যায়ে ট্রেনটি সেলদা থেকে রাণাঘাট রুটে চলবে, যা অন্যতম ব্যস্ত একটি সাবারবান লাইন।
এই ট্রেনটি কি মেট্রোর মতো দেখতে?
→ হ্যাঁ, বাহ্যিক নকশা অনেকটাই মেট্রোর অনুরূপ, যার দরজা কেবল স্টেশনে থামার পর খুলবে।
সাধারণ যাত্রীদের উপর ভাড়ার কতটা প্রভাব পড়বে?
→ এখনও ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি, তবে এসি পরিষেবা অনুযায়ী কিছুটা বেশি ভাড়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই নতুন ট্রেন শুধু আরামের দিক থেকেই নয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকেও বাংলার রেল পরিষেবায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। মুম্বই ও চেন্নাইয়ের পর এবার কলকাতাবাসীও উপভোগ করতে চলেছে এসি লোকাল পরিষেবা। শহরের ব্যস্ততম রুটে এই রেক চলাচল শুরু হলে হাজার হাজার যাত্রী উপকৃত হবেন।