Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

স্থলপথ বন্ধ করে কড়া বার্তা, মোদি সরকারের নিষেধাজ্ঞায় কাঁপছে ইউনুস সরকার

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, কারণ ভারত সরকার বাংলাদেশের কিছু পণ্যের উপর স্থলপথে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তটি ১৭ মে, ২০২৫ তারিখে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের…

Avatar

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, কারণ ভারত সরকার বাংলাদেশের কিছু পণ্যের উপর স্থলপথে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তটি ১৭ মে, ২০২৫ তারিখে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (DGFT) থেকে জারি করা হয়েছে।

ভারত সরকারের নতুন আমদানি নিষেধাজ্ঞা: বাংলাদেশের পণ্যের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ

কী কী পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে?

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশের তৈরি রেডিমেড পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, ফলের স্বাদযুক্ত ও কার্বনেটেড পানীয়, তুলা ও তুলা-ভিত্তিক পণ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি দিয়ে তৈরি সামগ্রী, এবং কাঠের আসবাবপত্র স্থলপথে ভারতের নির্দিষ্ট সীমান্ত শুল্ককেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে আমদানি করা যাবে না।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

কোন কোন সীমান্ত শুল্ককেন্দ্রের মাধ্যমে আমদানি নিষিদ্ধ?

নিম্নলিখিত রাজ্যগুলোর সীমান্ত শুল্ককেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে উপরোক্ত পণ্যগুলোর আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে:

  • আসাম

  • মেঘালয়

  • ত্রিপুরা

  • মিজোরাম

  • পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্র

কোন কোন পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা নেই?

নিম্নলিখিত পণ্যগুলোর উপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয় এবং সেগুলো আগের মতোই আমদানি করা যাবে:

  • মাছ

  • এলপিজি

  • ভোজ্যতেল

  • ক্রাশড স্টোন

এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ কী?

ভারত সরকারের মতে, এই সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ। বাংলাদেশ সম্প্রতি ভারতীয় সুতা, চাল, কাগজ, তামাক, মাছ, এবং গুঁড়ো দুধের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ট্রানজিট ফি আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপগুলি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর শিল্প ও বাণিজ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার মধ্যে ৯৩% পণ্য স্থলপথে ভারতে প্রবেশ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে এবং উভয় দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

প্রশ্ন ১: কোন কোন পণ্যের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে?

উত্তর: রেডিমেড পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, ফলের স্বাদযুক্ত ও কার্বনেটেড পানীয়, তুলা ও তুলা-ভিত্তিক পণ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি দিয়ে তৈরি সামগ্রী, এবং কাঠের আসবাবপত্র।

প্রশ্ন ২: এই নিষেধাজ্ঞা কোন কোন সীমান্ত শুল্ককেন্দ্রের মাধ্যমে প্রযোজ্য?

উত্তর: আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্র।

প্রশ্ন ৩: কোন কোন পণ্যের উপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়?

উত্তর: মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল, এবং ক্রাশড স্টোন।

প্রশ্ন ৪: এই নিষেধাজ্ঞার পেছনের কারণ কী?

উত্তর: বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ৫: এই নিষেধাজ্ঞা কবে থেকে কার্যকর হয়েছে?

উত্তর: ১৭ মে, ২০২৫ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

About Author