নির্ধারিত সময়ের আগেই নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। গতকাল, ১৩ মে, এই মৌসুমি বায়ু নিকোবরের পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগরের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে। স্বাভাবিক সময়ের প্রায় পাঁচ দিন আগেই মৌসুমি বায়ুর আগমন হওয়ায় আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে এটি মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের বাকি অংশগুলিতেও বিস্তার লাভ করবে।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় আজ থেকেই কালবৈশাখী এবং ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০ থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবৃহস্পতিবার
হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলায় ৬০-৭০ কিমি বেগে দমকা হাওয়ার সঙ্গে কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
শুক্রবার
নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি।
শনিবার ও রবিবার
কলকাতা সহ রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
সোমবার
আবারও নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
প্রশ্ন ১: কোন জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে?
উত্তর: ১৮ মে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়, ১৯ ও ২০ মে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত এবং ২০ মে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশ্ন ২: বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা কেমন হবে?
উত্তর: বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে, যা স্বস্তি এনে দেবে।
প্রশ্ন ৩: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সময় কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
উত্তর: এই সময় খোলা জায়গায় না থাকা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার না করা এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া উচিত।
প্রশ্ন ৪: কৃষকদের জন্য কী পরামর্শ রয়েছে?
উত্তর: কৃষকদের ফসল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং আবহাওয়ার আপডেটের প্রতি নজর রাখতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ৫: বৃষ্টিপাতের ফলে কোন কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে?
উত্তর: বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং যানজটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।