বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য অঞ্চলে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হতে পারে ‘শক্তি’। ঘূর্ণিঝড়টি ২৩ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে গঠিত হতে পারে এবং ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় শক্তির সম্ভাব্য প্রভাব
ঘূর্ণিঝড় শক্তি মূলত বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম এবং ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত, দমকা হাওয়া এবং জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে পারে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকলকাতার আবহাওয়ার পূর্বাভাস
কলকাতায় ইতিমধ্যে তীব্র গরম ও আর্দ্রতা বিরাজ করছে। গত সোমবার রাতে ৬৩ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চলে আরও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রস্তুতি ও সতর্কতা
আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ আপডেটের প্রতি নজর রাখুন।
নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন খাবার, পানি, ওষুধ ইত্যাদি মজুত রাখুন।
স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলুন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্ন ১: ঘূর্ণিঝড় শক্তি কবে গঠিত হতে পারে?
উত্তর: ঘূর্ণিঝড় শক্তি ২৩ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে গঠিত হতে পারে।
প্রশ্ন ২: এটি কোন কোন অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পারে?
উত্তর: বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম এবং ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রশ্ন ৩: কলকাতায় এর প্রভাব কেমন হতে পারে?
উত্তর: কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশ্ন ৪: কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
উত্তর: আবহাওয়া দপ্তরের আপডেট অনুসরণ, জরুরি সামগ্রী মজুত, এবং নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রশ্ন ৫: ঘূর্ণিঝড় শক্তি সম্পর্কে আরও তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তর: আবহাওয়া দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া যাবে।