ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে তিনি “অপারেশন সিন্দুর” পরবর্তী পরিস্থিতি এবং সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন। এই বৈঠকটি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
অপারেশন সিন্ধুর মাধ্যমে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালায়, যা ২২ এপ্রিল পাহালগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সীমান্ত এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পুনছ জেলায় ভারী গোলাবর্ষণ ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে, যার ফলে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্তে প্রস্তুতি বৃদ্ধি করেছে, রাজস্থানে পাকিস্তান সীমান্ত সিল করা হয়েছে এবং বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। আরব সাগরে সামনের সারির যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পদাতিক ইউনিটগুলো উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। সরকার সংবেদনশীল অঞ্চলে সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে, স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে এবং ১০ মে পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এর আগে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে, যেখানে রাজনৈতিক নেতাদের অপারেশন সিন্ধুর উদ্দেশ্য ও ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ভারতের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন: অপারেশন সিন্ধুর উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা এবং ২২ এপ্রিল পাহালগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়া।
প্রশ্ন: অজিত ডোভাল ও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে?
উত্তর: বৈঠকে সীমান্তের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া এবং ভারতের কৌশলগত প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রশ্ন: ভারতীয় বাহিনী কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে?
উত্তর: ভারতীয় বাহিনী সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে এবং যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে।
প্রশ্ন: সর্বদলীয় বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে?
উত্তর: সর্বদলীয় বৈঠকে অপারেশন সিন্ধুর উদ্দেশ্য ও ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।