কাশ্মীরের পাহেলগামে ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের মৃত্যু এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামের একটি গোষ্ঠী, যা ভারতের মতে পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তইয়বার একটি শাখা। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য, এবং পাকিস্তানকে দায়ী করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৬০ সালের ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, সীমান্ত বন্ধ এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার। পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে, ভারতীয় বিমান চলাচলের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে এবং বাণিজ্য স্থগিত করেছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতা উল্লাহ তারার জানিয়েছেন, তাদের কাছে “বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য” রয়েছে যে, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত সামরিক হামলা চালাতে পারে। পাকিস্তান তাদের সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে এবং আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ১,০০০-এরও বেশি ধর্মীয় বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং জনগণ বাঙ্কার প্রস্তুত করছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং পাকিস্তানকে তদন্তে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছেন। জাতিসংঘ এবং যুক্তরাজ্যও উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।
বর্তমানে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ছোটখাটো গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে, যদিও বড় ধরনের সংঘর্ষ এখনো হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উভয় পক্ষই সীমিত প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা যে কোনো সময় বড় সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।