আপনারও কি স্যালারি প্রতিদিন জলের মত বেরিয়ে যায়? বাড়ি ভাড়া, সংসার খরচ থেকে শুরু করে সন্তানের পড়াশোনা, সব মিলিয়ে আপনার পকেট কি খালি হয়ে যায় প্রতিদিন? আর তখনই আপনাকে নিতে হয় ধার। অন্যের কাছে টাকা চাওয়া ছাড়া তখন আর কোনো উপায় দেখতে পাওয়া যায় না। আসলে বিষয়টা হলো, এমন অনেকেই আছেন যারা মানি ম্যানেজ করতে পারেন না, এবং এর কারণেই সঞ্চয় নিয়ে সমস্যা হয়। তাহলে আজকে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে আপনি সহজে টাকা সঞ্চয় করতে হবে।
বাজেট:
একটা সময়ে প্রায় সব সংসারেই খেরোর খাতা মেইনটেইন করা হতো এবং সেখানেই হিসেব নিকেশ করতেন সবাই। কত আয় হয়েছে, কত টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, সেটা সেখানেই রাখা হতো। এখন আর সেই চল নেই। কিন্তু বাজেট করাটা খুবই প্রয়োজন। তাই এরকম একটা বাজেট তৈরি করাটা দরকার। কোথায় কত টাকা খরচ করতে হবে, কোথায় কিভাবে টাকা সেভ করতে হবে সেটা আগে থেকে জেনে রাখতে হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowটাকা সরিয়ে রাখা:
সংসার খরচের পরে যে টাকা পড়ে থাকবে, সেটা আপনাকে অবশ্যই সঞ্চয় করতে হবে। স্যালারি ঢুকল আগে আপনাকে সেই টাকা সরিয়ে রাখতে হবে এবং তারপর আপনাকে বাকি টাকা দিয়ে সংসার খরচ চালাতে হবে। এভাবে আগে একটু অসুবিধা হলেও, পরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
অটোমেটিক সেভিংস:
এমন অনেক স্কিম রয়েছে যেখানে আলাদা করে বিনিয়োগ করতে হয়না, কিন্তু একাউন্টে টাকা আসলে সঙ্গে সঙ্গে টাকা ডেবিট হয়ে যায়। এরকম স্কিমে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। ফলে আলাদা করে আপনাকে আর বিনিয়োগ করতে হবেনা। আপনার ভবিষ্যতের সঞ্চয় হতে থাকবে।
অপ্রয়োজনীয় খরচ:
অপ্রয়োজনীয় খরচ করাটা খুবই খারাপ একটা অভ্যাস। এটা আগে আপনাকে বুঝতে হবে। রোজ শপিং, রেস্টুরেন্টে খাওয়া, সিনেমা দেখা থেকে শুরু করে সবকিছুই আপনাকে একটু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এগুলো আপনি যতটা কম পারবেন করবেন, তাহলে আপনাকে আর বারবার টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। মাসে একবার কি দুবার রেস্তোরাঁয় গেলে অসুবিধা নেই, তবে আপনাকে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে।
কোথায় কত খরচ:
কোথায় কিভাবে কত টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে, সেটা আপনাকে আগে থেকে জানতে হবে। এই জন্যই আগে থেকে হিসেব থাকাটা দরকার, তাহলে আপনি জানতে পারবেন, কিভাবে আপনি টাকা সেভ করবেন এবং কোথায় সেভ করবেন। ফলে আপনার টাকা সঞ্চয় হবে এবং আপনি ভবিষ্যতের জন্য টাকা সেভ করে রাখতে পারবেন। ফলে আখেরে আপনার লাভই হবে।