সাত বছর ধরে পুলিশের দৌড়ে দৌড়ে ঘুরেও কোন কাজ হয়নি আদালত চত্বরে কাটিয়েছেন গোটা দিন, কিন্তু তাও নির্মম মুহূর্তের জন্য যারা দায়ী ছিল তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন নি। সেই যন্ত্রণাই বোধহয় তাকে প্রতি মুহূর্তে কুরে কুরে খাচ্ছিল। তাদের সাজা যখন মুকুব করে দেওয়া হয়েছিল, সেই কষ্ট যেন আশা দেবী সহ্য করতে পারছিলেন না, কিন্তু আজ তিনি খুশি।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তিনি আজ খানিকটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন। সাত বছরের অপেক্ষা আজ শেষ হতে চলেছে দোষীরা শাস্তি পাবেন, অন্তত এইটুকু ভরসা যে তারা আর অন্য কোন মা বাবার সন্তানকে কষ্ট দেবেনা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : সবকা সাথ, সবকা বিকাশ করছেন না, সবকা সাথ, সবকা সর্বনাশ করছেন অমিত শাহ, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
মঙ্গলবার নির্ভয় গণধর্ষণের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের অন্যতম দর্শকরাই বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতি ১৪ পাতার রিভিউ পিটিশন শুনতে চান নি। নিজেও সরে যান এই মামলা থেকে। বিচারপতি অশোক ভুষন, বিচারপতি এ এস বোপান্না, বিচারপতি আর ভানুমতির নতুন করে শুরু করেন এই মামলা। সেখানেও অক্ষয়ের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং তারা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেয় যে এই চূড়ান্ত অপরাধের সাজা একমাত্র মৃত্যুদণ্ড।
সন্তান হারানোর কষ্ট বোধ হয় কিছু দিয়েই মেটানো সম্ভব হয় না, কিন্তু নির্ভয়া যেভাবে মৃত্যুবরণ করেছে, সেই যন্ত্রণাকাতর শরীরটি যেন আজ একটু শান্তি পাবে। সাথে সাথে নির্ভয়ার মা আশা দেবীও আজ অনেকটা নিশ্চিন্ত, এই নরকের কীট গুলোকে অন্তত শাস্তি দেওয়া হবে এইটা ভেবে।