মুর্শিদাবাদে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। নবগ্রামের কাছে কৈলাসের কনভয়ের পথ আটকে সিএএ বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে একদল। বঙ্গ বিজেপি শিবির সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনা তৃণমূলের লোকজনই ঘটিয়েছে। বিজেপির প্রতিনিধিদের আটকাতে এই চাল তৃণমূলের। শাসকদলের কর্মী, সমর্থকদের পাল্টা দাবি, বিজেপি যে রাজ্যের জন্য, দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছেন। তাই তাঁরা এবার পথে নেমেছেন। রুখে দাঁড়াচ্ছেন।
বুধবার সকালে বোলপুরের দুঁদে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বোলপুরের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দরকারও হতে পারে। গোটা পরিস্থিতির জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তোলেন এই বিজেপি নেতা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : বড় সিদ্ধান্ত সরকারের! চাল, ডাল, চিনির মত এবারে রেশন দোকানে মাছ, মাংস, ডিম
এরপরই সেখান থেকে মুর্শিদাবাদের পথে রওনা দেন তিনি। কথা ছিল জঙ্গিপুর যাবেন। সেখানে সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে তুমুল উত্তেজনা চলছে গত কয়েকদিন ধরে। বিজেপির বেশ কয়েকটি দলীয় কার্যালয় ভাঙাও হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কনভয় নবগ্রামে ঢুকতেই পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল মানুষ। ভিড় থেকে স্লোগান ওঠে ‘গো ব্যাক’। কৈলাসকে কালো পতাকাও দেখানো হয়।
কৈলাস নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, এসপি, ডিজিকে ফোন করলেও তিনি কোনও উত্তর পাননি। তাঁর গাড়ি ঘিরে ফেলা হলেও পুলিশ প্রশাসন কোনওরকম সহযোগিতা করেনি। এ রাজ্যে কারও প্রাণই নিরাপদ নয়। তাঁর এই টুইট ঘিরে বেশ শোরগোল পড়ে যায়। অরবিন্দ মেনন, শিবরাজ সিং চৌহানরা এই ঘটনার নিন্দায় সরব হন। যদিও সন্ধে ৬টার পর একটি টুইটে কৈলাস জানান, সারাদিন বহু লড়াইয়ের পর মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছেন তিনি। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।