প্রত্যেকেরই জীবনে কিছু না কিছু টাকা বিনিয়োগ করা উচিত যাতে তিনি ভবিষ্যতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেতে পারেন। আপনি যদি ভালো অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে আপনি সঞ্চয় করে প্রতি মাসে কিছু টাকা করে আয় করতে পারবেন। কিছু টাকা বিনিয়োগ করলে আপনি মেয়াদ পূর্তির সময় প্রচুর টাকা রোজগার করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। নির্দিষ্টভাবে আপনি রিটার্ন পেতে পারেন। আমরা পোস্ট অফিসের এই প্রকল্পের ব্যাপারে আপনাদের সঙ্গে আজ আলোচনা করতে চলেছি।
এই রেকর্ডিং ডিপোজিট প্রকল্পে অনেকেই লাখ লাখ টাকা করে প্রতিমাসে জমা রাখেন। আজকের সময়ে ভালো রিটার্ন পাওয়ার জন্য সবথেকে ভালো প্রকল্প হল এই রেকারিং ডিপোজিট। এটাই হল সেরা বিকল্প। এই প্রকল্পে পাঁচ বছরের জন্য আপনি একটি একাউন্ট খুলতে পারেন। এই প্রকল্পে এই মুহূর্তে প্রতি বছরে বার্ষিক ৬.৭ শতাংশ করে সুদ দেওয়া হচ্ছে। আগে পাঁচ বছরের আরডি একাউন্টে ৬.৫০ শতাংশ করে সুদ দেওয়া হত। তবে এই প্রকল্পটিতে সুদের হার ২০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে করা হয়েছিল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআপনার অবশ্যই জানেন এই প্রকল্পের প্রতি মাসে আপনাকে কিছু করে টাকা জমা দিতে হয়। পাঁচ বছর পর মেয়াদ পূর্তির উপরে একটা মোটা টাকা আপনারা পেতে পারেন। প্রতিমাসে যদি চার হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করে একটি রেকারিং ডিপোজিট একাউন্ট আপনারা খোলেন তাহলে আপনি পাঁচ বছরে মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করবেন। এই আমানতের উপরে ৬.৭ শতাংশ করে যদি সুদ পাওয়া যায় তাহলে আপনি মেয়াদ পূর্তির পরে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৬৩ টাকা পেয়ে যাবেন। এরমধ্যে ৪৫ হাজার ৪৬৩ টাকা শুধুমাত্র আসবে সুদ থেকে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, যে সমস্ত ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার কেন্দ্রীয় সরকার পরিবর্তন করে সেখানেই কিন্তু নানা রকমের সুবিধা পাওয়া যায় সরকারের তরফ থেকে। আপনি যদি এই রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন তবে আপনি ভালো আয় করতে পারেন। রেকারিং ডিপোজিট একাউন্ট এর উপরে প্রাপ্ত সুদের উপরে টিডিএস কাটা হয়ে থাকে। ১০% TDS প্রযোজ্য হয়ে থাকে এই একাউন্ট এর উপরে। যদি সুদের পরিমাণ ১০০০০ টাকা থেকে বেশি হয় তাহলে কিন্তু এই টিডিএস কাটা হতে পারে।