ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে বর্তমানে সঞ্চয় করে রাখেন কমবেশি সকলেই। যারা কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন তারা রোজগার করা অর্থের কিছুটা রাখেন সঞ্চয়ের জন্য। এই টাকাটা বিনিয়োগ করতে তারা মূলত এমন মাধ্যম খোঁজেন যেখানে টাকা থাকবে সুরক্ষিত এবং রিটার্নও পাওয়া যায় মোটা অঙ্কে। এক্ষেত্রে তাই অনেকেই ভরসা করে থাকেন পোস্ট অফিফের (Post Office Scheme) বিভিন্ন স্কিমে। এই স্কিম গুলিতে টাকা যেমন সুরক্ষিত থাকে। তেমনি নিশ্চিত রিটার্নও পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল পোস্ট অফিসের এমনি লাভজনক স্কিমের।
পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিম বিনিয়োগকারীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় একটি স্কিম। এখানে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা করে বড় মাত্রায় রিটার্ন পাওয়া যায়! পোস্ট অফিসের এই স্কিমটিতে দৈনন্দিন সামান্য টাকা সঞ্চয় করে জমা করেই ১০ বছরে ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করা যায়। বিভিন্ন ছোট সেভিংস স্কিম রয়েছে পোস্ট অফিসে। তবে এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমটি বিশেষ জনপ্রিয় এবং লাভজনক। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রইল প্রতিবেদনে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপোস্ট অফিসের এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে মাসে ১০০ টাকা দিয়েও অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। সিঙ্গেল এবং জয়েন্ট দু ধরণেরই অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা রয়েছে এখানে। আপাতত ৬.৭ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ পাওয়া যায় এই স্কিমে। ২০২৪ এর ১ লা জানুয়ারি থেকেই চালু করা হয়েছে নতুন সুদের হার। এই স্কিমে কোনো রকম ঝুঁকি না থাকলেও এখানে প্রতি মাসে নূন্যতম টাকা জমা করতে হয়। কোনো মাসে ভুলে গেলে ১ শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হয়। আর যদি ৪ কিস্তি পরপর না দেওয়া হয় তাহলে অ্যাকাউন্ট আপনাআপনি বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
প্রতি দিন এই স্কিমে ৩৩৩ টাকা করে জমা করলে মাসে তা হয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি বছরে বিনিয়োগ হচ্ছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ৫ বছরে তা গিয়ে দাঁড়াবে ৬ লক্ষ টাকায়। আর বছরে ৬.৭০ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ পেলে ৫ বছর পর সুদ বাবদ পাওয়া যাবে প্রায় ১,১৩,৬৫৯ টাকা। আর মোট রিটার্ন পাওয়া যাবে ৭,১৩,৬৫৯ টাকা। এই স্কিমে ম্যাচুরিটি সময় ৫ বছর। তবে এটি ১০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর মোট রিটার্ন পাওয়া যাবে ১৭,০৮,৫৪৬ টাকা।