আপনিও কি বিনিয়োগ করার জন্য কোনো ভালো জায়গা খুঁজছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল আজকের এই বিশেষ খবরটি। আজ এই প্রতিবেদনে এমনটি তিনটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে যেখানে আপনি টাকা বিনিয়োগ করলেই আগামী দিনে মুঠো মুঠো টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
প্রথমেই সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা নিয়ে আলোচনা করা যাক। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ১০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এতে বিনিয়োগ করে মেয়েরা ২১ বছর বয়সের পর একটি মোটা ফান্ড পায়। একই সময়ে, যে কোনও ব্যক্তি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর পাশাপাশি, ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়ে সন্তানের জন্যও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় জন্ম থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কন্যা সন্তানের জন্য যে কোনও ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে খোলা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, এই স্কিমে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা ২১ বছর।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমের কথা বললে, এতে মোট বিনিয়োগের সময়কাল ১৫ বছর। কন্যা সন্তানের ১৮ বছর বয়স হওয়ার পরেও এসএসওয়াই অ্যাকাউন্টটি বিয়ের আগে বন্ধ করা যেতে পারে। পিপিএফ অ্যাকাউন্টের কথা বললে, এতে বিনিয়োগের সময়কাল ১৫ বছর পরে ৫ বছরের জন্য বাড়ানো যেতে পারে। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টে, আপনি একটি আর্থিক বছরে ২৫০ টাকা থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের কথা বললে, আপনি এই স্কিমে বছরে ন্যূনতম ৫০০ টাকা থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। উভয় স্কিমের অধীনে, আপনি যে কোনও পোস্ট অফিস বা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনি ৮ শতাংশ সুদের হার পাচ্ছেন। এই সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়। একই সময়ে, পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। এবার আসা যাক কিষাণ বিকাশ পত্রের কথায়। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা হল ১০০০ টাকা। পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত সর্বাধিক বিনিয়োগ করতে পারেন। কিষাণ বিকাশ পত্রে এখন বছরে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। সবথেকে বড় কথা, এই স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করলে, কয়েক বছরেই জমা টাকা দ্বিগুণ রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।