ভারতীয় রেলওয়ে তাদের পরিষেবা উন্নত করার জন্য নিরন্তন পরিশ্রম করে চলেছে। এই পরিশ্রমের ফলাফল হলো গোটা দেশে বন্ধে ভারত এক্সপ্রেসের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা। তবে যতই উন্নত পরিষেবা হোক না কেন এখনও ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে নাস্তানাবুদ হতে হয় দেশবাসীদের। কোথাও যেতে গেলে দীর্ঘদিন আগে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে হয়। হটাৎ করে টিকিট কাটতে গেলে পড়তে হয় ডাইনামিক ফেয়ারের কোপে। গতবছর তো আবার বিমানের ভাড়ার চেয়েও বেড়ে গিয়েছিল ট্রেনের ভাড়া। সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল দেশজুড়ে।
ডাইনামিক ভাড়ার জেরে গতবছর উৎসবের মরশুমে জয়পুর থেকে বেঙ্গালুরুগামী সুবিধা এক্সপ্রেসে এসি ২ টায়ারের একটি বার্থের ভাড়া বেড়ে হয়েছিল ১১,২৩০ টাকা। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। আবার ছটপুজোর সময় মুম্বই থেকে পটনাগামী ট্রেনে ডাইনামিক ভাড়া বেড়ে হয়েছিল ৯,৩৯৫ টাকা। এই অস্বাভাবিক ভাবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই বিষয় খতিয়ে দেখবে বলে আশা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅন্যদিকে আবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী একটি প্রেস বিবৃতিতে বলেছিলেন যে রেলওয়ে সকল যাত্রীদের নাকি টিকিটে ৫৫% করে ডিসকাউন্ট দেয়। আসলে কোভিডের সময় প্রবীণ নাগরিক এবং মিডিয়া কর্মীদের জন্য বরাদ্দ থাকা টিকিটে ছাড় বাতিল করা হয়েছিল। তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে সেই ছাড় আর চালু করা হয়নি। এই আবহে প্রশ্ন করা হলেই রেলমন্ত্রী দাবি করেন, ‘ভারতীয় রেল যে দামে টিকিট বিক্রি করে, তাতে আগে থেকেই প্রতি যাত্রীকে ৫৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।‘ তবে প্রবীণ নাগরিক দের আদেও আর ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে নাকি, সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন তিনি। তবে রেলমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে আগামী পাঁচ বছরে ৩০০০টি নতুন ট্রেন চালু করা হবে দেশে। ২০২৭ সালের মধ্যে ট্রেনের টিকিট কাটা মানেই কনফার্ম হবে ভারতে।