ভারতে অনেক মানুষ এখনও বাড়িতে নগদ অর্থ রাখার ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। তারা ব্যাংকে টাকা রাখতে পছন্দ করে না কারণ তারা মনে করে যে এটি নিরাপদ নয়। তবে, বাড়িতে নগদ অর্থ রাখার ক্ষেত্রে কিছু আয়কর বিধি রয়েছে যা বিবেচনা করা উচিত।
আয়কর আইন অনুযায়ী, বাড়িতে নগদ অর্থ রাখার জন্য কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে, আয়কর দফতরের অভিযানের ক্ষেত্রে, ব্যক্তিকে নগদ অর্থের উত্স প্রকাশ করতে হবে। আপনার আয়ের চেয়ে বেশি নগদ থাকা উচিত নয়। আপনার আয়ের বেশি বাড়িতে রাখা নগদ পরিমাণ হিসাব করতে না পারলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। আয়কর কর্মকর্তারা আপনার উপর জরিমানা আরোপ করতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং জরিমানা মোট অর্থের ১৩৭% পর্যন্ত হতে পারে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএখানে কিছু নির্দিষ্ট আয়কর বিধি রয়েছে যা বাড়িতে নগদ অর্থ রাখার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা উচিত:
– কোন ব্যক্তিকে ঋণ বা আমানতের জন্য ২০,০০০ টাকা বা তার বেশি নগদ গ্রহণ করার অনুমতি নেই। এই নিয়ম স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
– কোনো আর্থিক বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রেও জরিমানা করা যেতে পারে, যদি এই বিশাল পরিমাণ টাকার উৎস এবং অ্যাকাউন্ট জানা না থাকে।
– সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেশন অনুসারে, একবারে ৫০,০০০ টাকার বেশি জমা বা তোলার জন্য প্যান নম্বর এবং বিশদ বিবরণ দেখাতে হবে।
– যদি কোনও অ্যাকাউন্টধারী এক বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা করেন, তবে তিনি PAN এবং আধার তথ্য প্রদানের জন্য দায়ী থাকবেন।
– যে কোনও ভারতীয় নাগরিক তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারের আওতায় আসতে পারেন যদি তিনি ৩০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ অর্থের মাধ্যমে সম্পত্তি বিক্রি বা ক্রয় করে থাকেন।
– ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থপ্রদানের সময় যদি কোনও কার্ডধারী একবারে ১ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ প্রদান করে, তবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করা যেতে পারে।
এই বিধিগুলির উদ্দেশ্য হল অর্থনীতিতে কালো টাকার প্রবাহ বন্ধ করা। এই বিধিগুলি মেনে চলার মাধ্যমে, আপনি আয়কর সমস্যা এড়াতে পারেন এবং নিরাপদ এবং আইনি উপায়ে আপনার অর্থ পরিচালনা করতে পারেন।