২০২৩ সাল শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। নতুন বছরের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হবে নতুন বছরের কাজকর্ম। কিন্তু এই সময়টায় ব্যাংকের ছুটির কথা মাথায় রেখেই কাজের পরিকল্পনা করতে হবে। কারণ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মোট ১৬ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে।এই ছুটিগুলো শুধুমাত্র ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনে থাকা ব্যাংকগুলোর জন্য প্রযোজ্য। এছাড়াও, বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের কারণেও ব্যাংকের ছুটি থাকতে পারে। তাই ব্যাংকের ছুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার নিকটস্থ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যেসব দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে সেগুলো হল:
1) 1 জানুয়ারী (সোমবার) নববর্ষের দিন- মিজোরাম, তামিলনাড়ু, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ রয়েছে এই রাজ্যগুলি 1 জানুয়ারী নববর্ষের দিন উপলক্ষে বন্ধ থাকবে৷
2) 2 জানুয়ারী (মঙ্গলবার) নববর্ষ উদযাপন: মিজোরামে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে।
3) 11 জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার), মিশনারি ডে: মিজোরামে ব্যাঙ্ক বন্ধ।
4) 15 জানুয়ারী (সোমবার); উত্তরায়ণ পুণ্যকাল/মকর সংক্রান্তি উৎসব/মাঘে সংক্রান্তি/পোঙ্গল/মাঘ বিহু- কর্ণাটক, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, সিকিম, আসামে ব্যাঙ্ক বন্ধ।
5) 16 জানুয়ারি (মঙ্গলবার); তিরুভাল্লুভার দিবস- তামিলনাড়ুতে ব্যাঙ্ক বন্ধ।
6) 17 জানুয়ারী (বুধবার)- উঝাভার থিরুনাল/শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জি জন্মদিন- চণ্ডীগড় এবং তামিলনাড়ু,
7) 22 জানুয়ারী (সোমবার)- ইমোইনু ইরাতপা- মণিপুরে ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ রয়েছে৷
8) 23 জানুয়ারী (মঙ্গলবার)- মণিপুরে গান-নগাই- ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ।
9) 25 জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার)- থাই পুসাম/মোঃ হাজারত আলীর জন্মদিন- তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ।
10) 26 জানুয়ারি (শুক্রবার)- ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, বাংলায় ব্যাঙ্ক বন্ধ নেই
ব্যাঙ্কের ছুটি থাকার কারণে গ্রাহকদের কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। যেমন, টাকা জমা করা, টাকা তোলা, চেক ডিপোজিট করা, চেক ক্যাশ করা, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, ঋণ নেওয়া বা ঋণ পরিশোধ করা ইত্যাদি কাজে সমস্যা হতে পারে। তাই ব্যাংকের ছুটি সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া ভালো। বর্তমানে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা থাকায় কিছুটা হলেও এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবেন গ্রাহকরা। মোবাইল ব্যাংকিং, UPI এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তারা ব্যাংকের অনেক কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে জরুরি কাজের জন্য ব্যাংকে যেতে হলে আগে থেকেই জেনে নিয়ে যেতে হবে যে ব্যাংক খোলা আছে কিনা।