এই মুহূর্তে ব্যাংকে টাকা রাখলে আপনার লাভের সম্ভাবনা খুব একটা বেশি নয়। কারণ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে টাকার মূল্যও কমে যাচ্ছে। তাই, টাকার মূল্য ধরে রাখতে হলে ভালো কোনো স্কিমে বিনিয়োগ করতে হবে। এমনই একটি স্কিম হলো মিউচুয়াল ফান্ড। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে আপনি মাত্র ২ হাজার টাকার মাসিক বিনিয়োগে ৩৮ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা করতে পারবেন। আজকে আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি কিভাবে আপনি এই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজের টাকার ভ্যালু বাড়াতে পারবেন।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ভালো ফান্ড নির্বাচন করতে হবে। আপনি যদি প্রথমবার মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। ফান্ড নির্বাচন করার পর আপনাকে সেই ফান্ডে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP) করতে হবে। SIP হলো একটি নিয়মিত বিনিয়োগ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আপনি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করবেন। আপনি যদি প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা SIP করেন, তাহলে ২৫ বছর পর আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ২৭০ টাকা। এই টাকা দিয়ে আপনি আপনার সন্তানের বিয়ে, শিক্ষা, বাড়ি কেনা ইত্যাদির খরচ চালাতে পারবেন। তবে, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপ্রথমত, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে ঝুঁকি রয়েছে। তাই, বিনিয়োগ করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। দ্বিতীয়ত, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সময় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা উচিত। কারণ, স্বল্পমেয়াদে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে আপনি ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তৃতীয়ত, আপনি যে ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন, তার ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে জেনে নিন। বিভিন্ন ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। যেমন, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, গ্লোবাল ফান্ড, ইলেকট্রনিকস ফান্ড ইত্যাদি। এই ফান্ডগুলোর ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন। তাই, আপনার ঝুঁকির ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফান্ড নির্বাচন করুন। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে আপনি ভালো ফল পেতে পারেন। তবে, বিনিয়োগ করার আগে বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে নিন।