১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের মিড সেগমেন্টের বাইকের জন্য ভারতীয়দের মধ্যে সব সময় একটা ক্রেজ রয়েছে। পরিসংখ্যান দেখতে গেলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হিরো স্প্লেন্ডারের মোটামুটি ৩ লক্ষ ১২ হাজার ইউনিট বিক্রি হয়েছিল। একটি সাধারণ বাইকের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা রীতিমতো বিশাল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল হন্ডা শাইন বাইক। এটিও কিন্তু একটি এন্ট্রি লেভেল বাইক। ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ইউনিট বিক্রি হয়েছিল এই বাইকের। সাশ্রয় মূল্যের এই দুটি মোটরসাইকেলের বিক্রি প্রমাণ করে দেয়, ভারতে কিন্তু এখনো সস্তা মোটরসাইকেল এর বাজার বেশ ভালই রয়েছে। ড্রাম ব্রেক এবং ডিস্ক ব্রেক উভয় বিকল্পের সাথে আসে এই দুটি বাইক।
তবে এই তালিকার সবথেকে ভালো বাইক হল হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস। এই বাইকে রয়েছে একটি ৯.৮ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক। এই বাইকের তিনটি স্টাইল এবং সাতটি অপশন রয়েছে। এই বাইকের প্রারমিক মূল্য ৭৩ হাজার ৪৩৪ টাকা। আপনারা পেয়ে যাবেন ৯৭.২ সিসি ইঞ্জিন। এই বাইকে যে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে তা ৭.৯১ BHP শক্তি উৎপন্ন করতে পারে এবং ৮.০৫ NM টর্ক তৈরি করতে পারে। এই বাইকের কার্ব ওয়েট ১১২ কিলোগ্রাম।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই তালিকায় দ্বিতীয় সব থেকে জনপ্রিয় বাইক হল হোন্ডা সাইন। এই বাইকে আপনারা পেয়ে যাবেন ১২৩.৯৪ সিসি ইঞ্জিন। এই বাইকের দুটি ভেরিয়েট এবং পাঁচটি রংয়ের বিকল্প রয়েছে। এই বাইকে ৫৫ কিলোমিটারের মাইলেজ পাওয়া যাচ্ছে। এই বাইকটি ফাইভ স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের সাথে আসছে। এই বাইকের ১৮ ইঞ্চি এলয় হুইল রয়েছে এবং এই বাইকে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ১০.৫ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক। এই বাইকের প্রারম্ভিক মূল্য ৮০,৪০৮ টাকা। এই বাইকে আপনারা পেয়ে যাবেন ১০.৯৫ BHP শক্তি ও ১১ NM টর্ক। এর সামনে এবং পিছনে উভয় টায়ারে ড্রাম ব্রেক অপশন রয়েছে।
এই তালিকার তৃতীয় বাইক হল বাজাজ প্লাটিনা ১০০। এই বাইকে আপনি দুটো বিকল্প পাবেন কিকস্টার্ট এবং সেলফ স্টার্ট। এই বাইকের প্রারম্ভিক মূল্য ৬৫ হাজার ৯৫২ টাকা। এই বাইকে একটি শক্তিশালী ১০২ সিসি ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। কম্বাইন ব্রেকিং সিস্টেম এবং ৭৫ কিলোমিটারের মাইলেজ পাওয়া যাবে এই বাজাজ প্লাটিনা বাইকে। এই বাইকে আপনারা ৪ স্পীড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন পেয়ে যাবেন। এই বাইকে যে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে তা ৭.৭৯ BHP শক্তি উৎপন্ন করতে পারে এবং ১১ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্কসহ আসে এই বাইক। এই বাইকের সিটের উচ্চতা ৮০৭ মিলিমিটার। এই বাইকটি ৮.৩৪ NM টর্ক জেনেরেট করে।