দেশের বৃহত্তম ব্যাংক গুলির মধ্যে একটি হল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। এবারে এই ব্যাংকটি তাদের গ্রাহকদের জন্য একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এর অধীনে ব্যাংক বলেছে, যে সমস্ত সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং কারেন্ট একাউন্টে গত দুই বছরে কোন লেনদেন হয়নি, এগুলিকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় একাউন্ট বলে চিহ্নিত করা হবে। এই নিশ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করতে আবারো সেই ব্যক্তিকে ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক তার গ্রাহকদের এবং আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানালেও অনেকেই এই ধরনের লেনদেন করতে চাইছেন না। অনেকেই দুই বা তিন বছরের আগে শেষ লেনদেন করেছেন। তারপর সেই অ্যাকাউন্ট নিয়ে আর কোন চিন্তা ভাবনা করেননি। এবারে সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট একেবারে ফ্রিজ করে দিতে চলেছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। আপনি যদি এই ধরনের একাউন্ট এর মালিক হন তাহলে আপনাকে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে গিয়ে আবার নিজের অ্যাকাউন্ট চালু করতে হবে। এর জন্য আপনাকে নিজের ব্যাংকের শাখায় গিয়ে কেওআইসি জমা দিতে হবে। এরপরে আপনার একাউন্ট পুনরায় সক্রিয় হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowযদি আপনার একাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার একাউন্ট থেকে কোন ধরনের লেনদেন এখন করতে পারবেন না। জমা করা টাকা ব্যাংক দ্বারা নিয়মিত জমা হতে থাকবে। এসএমএস এবং ডেবিট চার্জ কাটতে থাকবে নিয়মিতভাবে। ফলে এই অ্যাকাউন্ট রেখে আপনার কোন লাভ হবে না। বরং ক্ষতি হবে অনেক বেশি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এখান থেকে বাঁচতে আপনাকে কি করতে হবে। বর্তমানে ভারতের প্রত্যেকটি ব্যাংক আর বি আই এর নির্দেশিকা মেনে চলে। আরবিআই নির্দেশ দিয়েছে যে ধরনের একাউন্টে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কোন লেনদেন হয় না সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় ঘোষণা করতে হবে। এই জাতীয় অ্যাকাউন্ট আবার পুনরায় চালু করতে হলে কেওয়াইসি ব্যবহার করতে হয়। আপনি যদি এক বছরের মধ্যে কোন লেনদেন না করেন তাহলে ব্যাংকের তরফ থেকে আপনাকে মেসেজ পাঠানো হয়। সেই মেসেজ আসার পরে আপনি যদি আপনার ডেবিট কার্ড দিয়ে একটি লেনদেন করে ফেলেন তাহলে আপনার কোন সমস্যা হবে না। যদি আপনি লেনদেন না করেন তাহলে কিন্তু, আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে আপনার নো ইওর কাস্টমার সার্টিফিকেট ঠিক করতে হবে।