ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

রেলস্টেশনে আপনার দোকান খুলতে চান? কিভাবে করবেন এই কাজ? জানুন বিস্তারিত – INDIAN RAILWAYS

আজকের দিনে আপনি খুব সহজেই এই দোকান খুলে ব্যবসা করতে পারবেন

Advertisement

রেলে চাকরি পাওয়া আজকের দিনে সবারই স্বপ্ন। এটি এমন একটি সরকারী বিভাগ যেখানে প্রায় ১৪ লক্ষ লোক কাজ করে। বলতে গেলে ভারতীয় রেলওয়ে কর্মসংস্থানের মধ্যে ভারতের সবথেকে ভালো সরকারি মাধ্যম। তবে, শুধু সরকারি চাকরি নয়, রেল স্টেশনের উপরে অনেকেই নির্ভর করে থাকেন প্রতিদিন। দিন আনা দিন খাওয়া থেকে শুরু করে অনেকেই এই ধরনের স্টেশনের উপরে নির্ভর করেন প্রতিদিনের আয় করার জন্য। প্রতিটি রেলস্টেশনে আপনি খাবার এবং অন্যান্য জিনিস বিক্রির অনেক দোকান পাবেন। হকারও অনেকেই আছেন যারা এইসব দোকানের মাধ্যমেই আয় করেন। এসব দোকান থেকে মানুষ লাখ লাখ টাকা আয় করে। আপনিও যদি আপনার নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এই নিবন্ধটি আপনার জন্য। আজ আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি। চলুন জেনে নেওয়া যাক যে, কিভাবে আপনি রেল স্টেশনগুলিতে খাবারের স্টল খোলার জন্য দরপত্রের আবেদন করতে পারেন৷ এটার জন্য আপনার খরচ কত হবে কিংবা স্টেশনে আপনি কিভাবে এই কাজ শুরু করতে পারবেন।

ট্রেনে ক্যাটারিং টেন্ডার খোলার এবং যাত্রীদের প্রয়োজনে রেল স্টেশনগুলিতে খাবারের স্টল বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। ভারতীয় রেল এর জন্য একটি টেন্ডার জারি করে, যার জন্য আবেদন করে দোকান স্থাপনের লাইসেন্স পাওয়া যায়। রেলস্টেশনের বিভিন্ন স্টলের দাম নির্ভর করে দোকানের ধরনের ওপর। এর জন্য, রেলওয়ে আপনাকে দোকানের আকার এবং অবস্থান অনুযায়ী চার্জ করবে। সাধারণত, একটি বইয়ের স্টল, চা-কফি স্টল এবং খাবারের স্টল খুলতে আনুমানিক খরচ হতে পারে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা।

যাইহোক, শহর এবং আশেপাশে অবস্থিত স্টেশনের উপর নির্ভর করে এই স্টলের দাম। যদি শহরের স্টেশন হয় তাহলে এই খরচ বেশি হবে। আবার গ্রামের দিকের স্টেশন হলে আপনার খরচ কম হবে। ভারতীয় রেলওয়ে অনেক স্টেশনে অনেক ছোট স্টলও স্থাপন করার পারমিশন জারি করে যার ভাড়া এবং খরচ কম। অন্যদিকে, IRCTC ভারতীয় রেলওয়েতে ক্যাটারিং সুবিধাগুলিও পরিচালনা করে। IRCTC কিন্তু রেলওয়ে স্টেশনে উপলব্ধ খাবারের দাম নির্ধারণ করে। এর সাথে সম্পর্কিত মেনু, খাবারের হার ইত্যাদি নির্ধারণ করে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। আইআরসিটি এখন নিজেই জনহার কেন্দ্র, ফুড প্লাজা, ফুড কোর্ট, ফাস্ট ফুড ইউনিট, ই-ক্যাটারিং ইত্যাদিতে কাজ করে। এই পরিস্থিতিতে, আপনাকে আইআরসিটিসি থেকেই এই তথ্য পেতে হবে।

রেলস্টেশনে খাবারের স্টল বা অন্য কোনও স্টল খুলতে দোকানদারের কাছে অবশ্যই আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি থাকতে হবে। টেন্ডার বিভাগে গিয়ে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে স্টেশনে খাবারের স্টলের প্রাপ্যতা সম্পর্কে তথ্য নিয়ে আবেদন করে ফেলুন। তারপরেই শুরু করে ফেলুন আপনার স্বপ্নের ব্যবসা।

Related Articles

Back to top button