বলিউড দুনিয়ায় অক্ষয় কুমার হলেন এমন একজন অভিনেতা যিনি প্রায় তিন দশক ধরে বলিউডে নিজের ছবির মাধ্যমে নিজের একটা বিশাল বড় ফ্যান বেস তৈরি করেছেন। সাধারণ হিসেবে বিচার করতে গেলে অক্ষয় কুমার অভিনীত প্রত্যেকটি সিনেমা হয়ে থাকে সুপারহিট। কমেডি হোক কিংবা অ্যাকশন কিংবা রোমান্স, প্রত্যেকটি ধরনের সিনেমাতেই অক্ষয় কুমার দারুন দক্ষতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা অক্ষয় কুমার তার অভিনয়ের দক্ষতার মাধ্যমেই এত বড় জায়গা হাসিল করতে পেরেছেন বলিউডে।
২০০১ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন রাজেশ খান্নার কন্যা তথা অভিনেত্রী টুইংকেল খান্নাকে। তাদের বর্তমানে দুই সন্তান রয়েছে। তবে অক্ষয় কুমার এখনো বলিউডে অভিনয় করলেও টুইংকেল খান্না নিজেকে বলিউড থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি এই মুহূর্তে ভারতের একজন জনপ্রিয় কলামনিস্ট এবং এই কাজটি করে তিনি অত্যন্ত খুশি। আজকে আমরা তাদের দুজনের জীবনের একটি মজার গল্প বলতে চলেছি। এই গল্পটা তাদের দুজনের হানিমুনের সময়কার। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাদের দুজনের হানিমুনে কি এমন মজার ঘটনা ঘটেছিল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅক্ষয় এবং টুইঙ্কলকে বলিউডের অন্যতম আইডল দম্পতি বলে মনে করা হয়। দুজনের মধ্যে একটা দারুণ বন্ধন রয়েছে। অক্ষয় এক বছরে অনেকগুলি ছবিতে অভিনয় করেন। তা সত্ত্বেও স্ত্রী ও সন্তানদের সময় দিতে ভোলেন না তিনি। এ কারণেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বন্ধন আরও দৃঢ় হচ্ছে।
অক্ষয় কুমার কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাত্কারে ভক্তদের সাথে তার হানিমুন সম্পর্কিত একটি ঘটনা শেয়ার করেছিলেন। অক্ষয় জানিয়েছিলেন, ‘বিয়ের প্রথম রাতেই তিনি টুইঙ্কলের একটি বড় সত্য জানতে পেরেছিলেন’। কি সেই সত্য, জানলে আপনিও চমকে যাবেন বৈকি!
অক্ষয় বলেছেন, ‘হানিমুনে টুইঙ্কলকে দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে যদি কখনও আমাদের মধ্যে লড়াই হয় তবে আমি টুইঙ্কল খান্নার সাথে কখনও জিততে পারব না। সে খুবই যুক্তি দিয়ে সব কথা বলে এবং সব কাজ করে। তাই ঝগড়াটাও যুক্তি দিয়েই করে টুইংকেল। এটা জেনে আমি হতবাক এবং বিরক্ত হয়েছি।’
১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’ ছবির শুটিংয়ের সময় অক্ষয় ও টুইঙ্কলের প্রেমের গল্প শুরু হয়। এরপর আর দেরি না করে টুইঙ্কেলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অক্ষয়। তারপর দুজনেই ২০০১ সালে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে এই দম্পতি দুই সন্তানের বাবা-মা।