২০ দিনের মধ্যে সামলে নিন এই কাজ, না হলে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা
ভারত সরকারের আয়কর দপ্তর বর্তমানে আয়কর রিটার্ন নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে
এমন কিছু সরকারি কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি যদি সময় মতো নিষ্পত্তি না করেন তাহলে কিন্তু আপনাকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হয় অনেক ক্ষেত্রে। এরকমই একটি কাজ হল আয়কর রিটার্ন ফাইল করা। এই কাজটি যদি আপনি কুড়ি দিনের মধ্যে না করেন তাহলে আপনাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হতে পারে সরকারের তরফ থেকে। যাদের আয় আয়কর স্ল্যাব এর থেকে বেশি তাদেরকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দিতে হয় প্রতি বছর। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য ৩১ জুলাই এর মধ্যে আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
আয়কর রিটার্ন হলে এমন একটি নথি যা প্রত্যেক করদাতাকে আয়কর বিভাগের কাছে জমা দিতেই হয়। পূর্ববর্তী বছরে অর্জিত আয় ঘোষণা করার জন্য প্রতিবছর আপনাকে এই রিটার্ন জমা করতে হবে। প্রতি বছরে একবার আপনাকে আয়কর রিটার্ন দিতে হয়। আয়কর রিটার্নের ফর্ম ১৬ সাবমিট করে আপনাকে এই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। আপনার আয়কর রিটার্ন দক্ষতার সাথে এবং দ্রুত ফাইল করতে হয় আপনাকে। এই বছর এই নথি ফাইল করার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। তবে শেষ তারিখে একটা সমস্যা রয়েছে। এই শেষ তারিখটা হল সোমবার। তার আগে দুদিন রবিবার এবং শনিবার হওয়ার কারণে অনেক জায়গায় কাজ বন্ধ থাকে। তাই সোমবার প্রচুর মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। এই কারণে আপনাকে আগেভাগেই এই কাজটা সেরে রাখা উচিত।
ভারতের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক করদাতাকে আয়কর রিটার্ন সময় মত ফাইল করতে হবে। যদি আপনি সময়মতো এই রিটার্ন ফাইল না করেন তাহলে আপনাকে জরিমানা দিতে হয়। তবে যদি আপনি সময়মতো ফাইল করে নেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত জরিমানা করা হয় না সরকারের পক্ষ থেকে। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার সময়সীমা মিস হয়ে গেলে ২৩৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী আপনাকে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে। তবে যদি ১৩৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী আপনি আয় করে রিটার্ন ফাইল করেন তাহলে আপনার কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে না।
আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, ১৩৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী যদি কেউ আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ২৩৪F ধারা অনুযায়ী তাকে পাঁচ হাজার টাকা লেট ফি দিতে হবে। যদি কারো আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয় তবে এই একই পরিস্থিতিতে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। আয়কর ওয়েবসাইট বলে, ১৩৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী যদি আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন তাহলে আপনাকে কোন ফাইন দিতে হয় না। তবে যদি, রিটার্ন ফাইল করতে দেরি হয়, তাহলে ১৩৯(৪) নম্বর ধারা অনুযায়ী বিলম্বিত রিটার্ন আপনি সাবমিট করতে পারেন।