আপনার বাড়িতে যদি ৫০০ বর্গফুট খালি জমি থাকে বা আপনার কোথাও একটি বড় খালি জমি থাকে, তাহলে এটি আপনার জন্য নিয়মিত আয়ের একটা উৎস হয়ে উঠতে পারে। এর জন্য, আপনার নিজের থেকে কঠোর পরিশ্রম করার দরকার নেই। আপনাকে শুরুতে কিছু কাগজপত্রের কাজ করতে হবে। তবে সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেলে, বাকিটা কোম্পানি করবে। টাওয়ার স্থাপনের পরে, আপনি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেতে থাকবেন।
মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের ব্যবসা
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowমোবাইল টাওয়ার স্থাপনের জন্য ছাদে ৫০০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। কিন্তু খালি জমিতে কাজটা করতে হলে ২,০০০ বর্গফুট থেকে ২,৫০০ বর্গফুট জমির প্রয়োজন হবে৷ জমিটি শহর বা গ্রামীণ এলাকায় কিনা তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। এছাড়াও, আপনাকে এটিও লক্ষ্য করতে হবে যে, আপনার জমি হাসপাতাল থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকা উচিত। এছাড়াও, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জমি হওয়া উচিত নয়। মোবাইল টাওয়ার থেকে নির্গত রেডিয়েশন মানুষের জন্য অনেক ক্ষেত্রে খারাপও হয়ে উঠতে পারে।
কিভাবে টাওয়ার বসানো হবে?
কোন টাওয়ার কোম্পানি আপনাকে সামনে থেকে টাওয়ার স্থাপনের জন্য ডাকে না। টাওয়ার স্থাপনের জন্য আপনাকে নিজেই কোম্পানির কাছে আবেদন করতে হবে। এরপর কোম্পানির লোকজন আপনার জমি বা ছাদ পরিদর্শন করতে আসবে। যদি তারা সবকিছু ঠিকঠাক পায় তাহলে তারা আপনার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। এরপর চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানি আপনাকে টাকা দেবে।
আপনার টাওয়ার কোথায় ইনস্টল করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে আপনার টাকা উপার্জন হবে । এর সাথে আপনি কোন কোম্পানির টাওয়ার স্থাপন করছেন সেটাও নির্ভর করে। প্রতিটি কোম্পানি তার টাওয়ার স্থাপনের জন্য আলাদা অর্থ প্রদান করে। যাইহোক, এর সর্বাধিক পরিসীমা ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত যেতে পারে। আর সর্বনিম্ন হতে পারে ১০,০০০ টাকা৷
টাওয়ার স্থাপনকারী এইসব সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে এয়ারটেল, আমেরিকান টাওয়ার কো-অপারেটিভ, বিএসএনএল টেলিকম টাওয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার, এসার টেলিকম, জিটিএল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, এইচএফসিএল কানেক্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার – ইনফোটেল গ্রুপ, আইডিয়া টেলিকম ইনফ্রা লিমিটেড, রিলায়েন্স ইনফ্রাটেল এবং ভোডাফোন। টাওয়ার স্থাপনের জন্য জমি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র, পৌরসভার এনওসি এবং ছাদে টাওয়ার বসানো হলে কাঠামোগত নিরাপত্তা সনদও প্রয়োজন।