বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সর্বক্ষেত্রে নিজেকে প্রেজেন্টেবল রাখাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে অনেকেই নিজেকে ফিট রাখার জন্য নিত্যদিন শারীরিক কসরত করেন। রোগা থাকতে যান জিমেও। নিয়ন্ত্রণ আনেন নিত্ত খাওয়া দাওয়াতেও। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারণ করেও ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী ফল পেঁপে। নীচে সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হল।
১) পেঁপে-আম-ভ্যানিল স্মুদি- এটি তৈরি করতে প্রথমে এক কাপ পেঁপের ছোট ছোট টুকরো, এক কাপ আমের ছোট ছোট টুকরো, দুই টেবিল চামচ দই, আধা কাপ জল ও এক চা চামচ মধু নিতে হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএরপর এই সব কটি জিনিস একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে মিক্সিতে। স্বাদ বাড়াতে ভ্যানিলা প্রোটিন পাউডার মেশানো যেতে পারে এতে। এরপর যে ঘন মিশ্রণটি তৈরি হবে সেটি গ্লাসে ঢেলে বরফ ও হালকা মধু ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।
২) টঙ্গি পেঁপে ও কলার স্মুদি- প্রথমে একটি পাত্রে একটা বা দুটো কলা ছোট ছোট টুকরো করে রাখা পেঁপে, কয়েক টুকরো কমলালেবু ও এক কাপ গ্রিন টি নিয়ে নিতে হবে।
পরে এই সবকটি জিনিস একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। স্বাদ বাড়াতে এক চা চামচ নারকেল চিনি মেশানো যেতে পারে। এরপর এটি একটি গ্লাসে ঢেলে আখরোট ও বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।
৩) পেঁপে-আপেল স্মুদি- প্রথমে একটি পাত্রে একটি আপেল টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। পাশাপাশি একটা বা দুটো কলা ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। এছাড়াও দই এক কাপ, আধা কাপ নারকেল দুধ, এক চা চামচ মধু ও সামান্য পরিমাণ দারুচিনি নিয়ে নিতে হবে।
এরপর এই সবকটি উপাদান একসাথে মিক্সিতে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটি গ্লাসে ঢেলে বরফ যোগে ও হালকা মধু ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।
৪) পেঁপে-ওটমিন স্মুদি- প্রথমে একটি পাত্রে দু’কাপ টুকরো করে রাখা পেঁপে, ওটস আধা কাপ, ওট মিল্ক এক কাপ, মধু এক চা চামচ, এলাচ গুঁড়ো, পুদিনা পাতা নিয়ে নিতে হবে।
এরপর এই সবকটি জিনিস একসাথে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে গ্লাসে ঢেলে নিতে হবে। তার উপর স্বাদের জন্য অল্পপরিমাণে এলাচ গুঁড়ো ও মধু ছড়িয়ে দিয়ে একটা কি দুটো পুদিনা পাতা, সাজসজ্জার জন্য দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
উল্লেখ্য পেঁপে ভিটামিন সি, লাইকোপিন ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। এটি মানব শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পেঁপের প্যাপেইন এনজাইম প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। আর এই পুষ্টি গুণগুলি থাকার জন্যই এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি হতে দেয় না। উল্লেখ্য উপরে উক্ত স্মুদিগুলি দীর্ঘসময় পেট ভর্তি রাখে ফলে খিদে কম পায়, আর যার কারণবশত ওজন বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে থাকে।