স্বাস্থ্য ও ফিটনেসজীবনযাপন

Back Pain Remedy: শরীরে এই ভিটামিনের অভাবে হতে পারে কোমর ব্যথা, ঘরোয়া টোটকাতেই হবে সমস্যার সমাধান

Advertisement
Advertisement

বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে সাধারণ মানুষ ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়ার সময় পান না অনেক সময়। শরীর স্বাস্থ্যের কথা সবসময় মনেও থাকে না তাদের। আর তাই কিছু ক্ষেত্রে শরীর সায় দেয় না। আর সেটাই বাদ সাধে নিত্যদিনের জীবনে। আর সেগুলি যে শরীরে ভিটামিনের অভাবেই হয়ে থাকে, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement
Advertisement

আজকের প্রজন্মের কাছে কোমরে ব্যথা কিংবা পিঠে ব্যাথা, অস্বাভাবিক কোনো রোগ নয়। কারণ কাজের চাপে একনাগারে একভাবে বসে থাকার জন্যও অনেকসময় পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। তবে তা যে ভিটামিন বি ১২’এর অভাবে হয়, তা জানেন না অনেকেই। যখন সেই ব্যথা অতিরিক্ত বেদনা দিতে শুরু করে তখনই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। ফলে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমেই তারা এই ভিটামিনের অভাবের কথা জানায় সকলকে। তাড়াতাড়ি ব্যথা কমানোর চক্করে যার জন্য সাধারণ মানুষকে খেতে হয় অনেক ওষুধও। তবে অতো অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে যদি ঘরোয়া টোটকাতেই ব্যথা সারে তাহলে মন্দ কি!

Advertisement

ভিটামিন বি ১২ শরীরের বারোটা ব্লাড সেলকে উজ্জীবিত রাখে। পাশাপাশি বজায় রাখে শারীরিক এনার্জিও। আর এই ভিটামিনের অভাব হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি মানুষ খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন। দেখা দেয় নানারকম শারীরিক সমস্যা। যদি ঘরোয়াভাবেই এই ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে হয় তাহলে লিভার, টুনা মাছ, দুধ, দই, ডিম, পনির, কলা, স্ট্রবেরির মতো খাদ্যদ্রব্য খেতে হবে পরিমাণমতো। যদি নিয়মিত পরিমান মত এই খাদ্যদ্রব্য গুলি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়া হয় তাহলে অনেকটাই কমবে ভিটামিন বি ১২’এর অভাব।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে পিঠের ব্যথা কমানোর জন্য হলদি দুধ খুব কার্যকরী। এক গ্লাস দুধে হাফ চামচ গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে যদি খেয়ে নেয়া হয়, তাহলে তা পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে অনেকটাই। কারণ হলদি দুধে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ব্যথার উপর খুব সহজেই কাজ করে।

পাশাপাশি আদা কুচি কুচি করে কেটে যদি গ্রিন টিয়ের সাথে মিশিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে তা কোমর ব্যাথার পক্ষে উপকারী। আদর সহযোগে গ্রিন টি অনেকটাই উপশম ঘটায় কোমর ব্যথার। কারণ এতে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির গুণ।

কোমর ব্যথা ও পিঠের ব্যথায় কাজ দেয় গরম জলও। রোজ যদি গরম জলের শেঁক নেওয়া যায় কিংবা গরম জলে স্নান করা যায় তাহলে তা অনেকটাই আরাম দেবে ব্যথায়। পাশাপাশি করতে হবে কিছু এক্সারসাইজও। এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে যাতে শোয়ার কিংবা বসার ধরন ঠিক থাকে। একনাগাড়ে কোনটাই করা যাবে না। না বেশিক্ষণ বসে থাকা যাবে, না দাঁড়িয়ে থাকা যাবে দুটোতেই সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে। বলাই বাহুল্য, যদি অ্যান্টিবায়োটিক এর বদলে সাধারণ মানুষ নিজের রোজগার জীবনযাত্রা, খাওয়া-দাওয়ার প্রতি নজর দেন, তাহলে এই ধরনের সমস্যা থেকে অনেকটাই উপশম পাওয়া গেলেও যেতে পারে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button