নয়া দিল্লি : ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার জানান লকডাউনে কতজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তার কোনও হিসেব নেই সরকারের কাছে। এই ঘটনার পরেই বিরোধিদের বাক্য বাণে বিধতে শুরু করে রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
রাহুল জানান, “হিসেব নেই মানে এই নয় যে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি”। এমনকি মহুয়া মৈত্র টুইট করেন, গতকাল লোকসভায় লিখিতভাবে সরকার জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক, কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ হারানোর সংখ্যা কেন্দ্রের কাছে নেই। তাই এখনও পর্যন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বেরও প্রয়োজন নেই”। কিন্তু অবশেষে উত্তর মিললো, গত ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশালে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের।
এই নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন শুক্রবার সাংসদে প্রশ্ন তোলেন। সেই মতো কেন্দ্রীয় সরকার প্রশ্নের উত্তরে শনিবার পুরোটাই খোলসা করে। এদিন রেলমন্ত্রী পীষূষ গোয়েল জানান, এখনো পর্যন্ত শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩,১৯,০০০ জন।
এর মধ্যে আবার ৯৭টি মৃত্যু ঘটনার ক্ষেত্রে ৮৭ জনের দেহ পোস্ট মর্টেমে দেওয়া হয়েছিল, ৫১টি রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে আবার অনেকে হার্টের রোগ, মস্তিস্কে আঘাত, পুরনো রোগ, লিভারের অসুখেও মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনো অব্দি আরো তথ্য জানানো বাকি আছে।