প্রায় এক কোটি বিশ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীর কপালে এখন শুধু অপেক্ষার কাঁটা। ৮তম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন মিললেও, বাস্তবে তার কাজ শুরু হতে এখনও অনেক দেরি। ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি কেন্দ্র সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ৮তম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি কমিশনের চেয়ারপার্সন, সদস্য অথবা ToR (Terms of Reference)। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—এই কমিশনের সুপারিশ কবে কার্যকর হবে?
বেতন বৃদ্ধির আশায় দীর্ঘ অপেক্ষা
পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতাকে ধরেই আন্দাজ করা যায়, কমিশন গঠনের পর রিপোর্ট দিতে প্রায় ২ থেকে ২.৫ বছর সময় লেগেছে। ষষ্ঠ কমিশনের ক্ষেত্রে রিপোর্ট দিতে লেগেছিল প্রায় ১.৫ বছর এবং তা কার্যকর করতে আরও ৫ মাস। সপ্তম কমিশনের ক্ষেত্রে রিপোর্ট আসতে সময় লেগেছিল প্রায় ১.৭৫ বছর এবং তা কার্যকর হতে লেগেছিল ৭ মাস। সেই হিসেব অনুযায়ী, এই কমিশনের সুপারিশ রিপোর্ট পেতে ২০২৭ সালের শেষ বা ২০২৮ সালের শুরু পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে আশার আলো এখানেই শেষ নয়। যদি পিছনের মতোই সুপারিশগুলি ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হয়, তবে arrears পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কতটা বাড়বে বেতন?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ (Fitment Factor)। সপ্তম কমিশনে এটি ছিল ২.৫৭ গুণ। এবার তা ১.৯২ থেকে ২.৮৬ গুণের মধ্যে হতে পারে বলে আলোচনা চলছে। যদি সর্বোচ্চ হারে ফিক্স হয়, তবে ন্যূনতম বেসিক বেতন ১৮,০০০ থেকে বেড়ে ৫১,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।
কর্মচারীদের প্রধান দাবিগুলি কী কী?
কেন্দ্রীয় কর্মচারী সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই একাধিক দাবি তুলেছে:
ন্যূনতম বেতন নির্ধারণে ৫ সদস্যের পরিবারের খরচের হিসেব ধরা হোক
বিভিন্ন বেতন স্তরের সংযুক্তিকরণ করা হোক
প্রতি ৫ বছর অন্তর পেনশন পুনর্মূল্যায়ন
১২ বছর পর কমিউটেড পেনশন পুনঃস্থাপন
ডিএ-এর ৫০% বেসিক বেতনে অন্তর্ভুক্ত করা হোক
সাধারণ কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
৮ম বেতন কমিশনের অনুমোদন কবে হয়েছিল?
২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই কমিশনের কাজ শুরু কবে হবে?
এখনও পর্যন্ত কমিশনের কাঠামো নির্ধারিত না হওয়ায় শুরু সময় অনিশ্চিত।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কী?
এটি এমন একটি গুণক, যা দিয়ে কর্মীদের বেসিক বেতন বৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়।
ন্যূনতম বেতন কত হতে পারে?
সম্ভাব্য সর্বোচ্চ হার অনুযায়ী ₹৫১,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।
কমিশনের রিপোর্ট কবে আসতে পারে?
অনুমান করা হচ্ছে ২০২৭ সালের শেষ বা ২০২৮ সালের শুরুতে রিপোর্ট আসতে পারে।