প্রতিনিয়ত করোনার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই আরও কঠিনতর হয়ে উঠছে, আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আতঙ্কে গোটা দেশ। কবে করোনার ভয় কাটিয়ে আবার সুস্থ প্রাণোচ্ছল দেশের সম্মুখীন হব আমরা,প্রশ্ন সকলের মনে। সোমবার রাজ্যে হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছিল ৪৭০৯১ জনকে, সেই সংখ্যা মঙ্গলবার বিকেলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০৪৮২ জনে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ হয়েছে। কম্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকের পর এবার তাঁর পরিবারের তিন সদস্যও করোনা আক্রান্ত বলে জানা গেছে। দমদম আইএলএসে ভর্তি ১ প্রৌঢ়া এবং তার স্বামী। পৌঢ়ার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, সম্প্রতি তিনি ইতালির মিলান থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ডুয়ার্স থেকে ফেরা হাওড়ার গোলাবাড়ি-র এক প্রৌঢ়ার। সোমবার এনআরএস-এ করোনা সন্দেহে মৃত্যু হয় এক মহিলার, রিপোর্টে জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। রাজ্যে এখনো পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowগোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে জনবহুল ভারতের অবস্থার কথা আশঙ্কা করে সব রকম সতর্কতা এবং করোনা ছড়িয়ে পড়া থেকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তাই ১ দিনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে হোম কোয়ারানটিনেপাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এক দিনে ১০৩৩৯১ মানুষকে হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো যায়।
সব অন্ধকারের পর যেমন আলো দেখা যায়, তেমনই এত খারাপের মধ্যেও করোনা যুদ্ধ জয় করে করোনাকে রাজ্যের তিন করোনা আক্রান্ত বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা যায়। ওই তিন আক্রান্তের রবিবার প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সোমবারও তাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপর ছাড়া হয় তিনজনকে। এই তিনজন হলেন রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত যিনি লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন, দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডের এক আবাসনের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী, এবং স্কটল্যান্ড থেকে ফেরা হাবরার এক তরুণী।বাড়ি ফিরলেও ১৪ দিন তাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে।
আবার নোটবন্দি? রাতারাতি ৫০০ টাকার নোট বাতিল হলে কী করবেন?