দেবপ্রিয়া সরকার : মিষ্টি খেতে কমবেশি সকলেই ভালোবাসে। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য এই মিষ্টি কতটা ক্ষতিকারক তা অনেকেরই অজানা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা খাবারে এই মিষ্টি উপর সম্পূর্ণ সতর্কবার্তা জারি করেছেন এবং সরকার থেকে মিষ্টি বা চিনির উপর কর প্রয়োগ করা হয়েছে। সাধারণত ডায়াবেটিসের জন্য আমরা মিষ্টি জাতীয় খাবার কে দায়ী করে থাকি। তবে সব সময় ডায়াবেটিসের কারণ মিষ্টি না। মিষ্টি অন্য অনেক রকম ভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে থাকে। তবে ঠিক কী কী ভাবে এই মিষ্টি বা শর্করা জাতীয় খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে থাকে তা বের করা কঠিন।
গবেষকদের মতে শুধুমাত্র মিষ্টি খাওয়ারে সমস্যার তৈরি হয় না। গবেষকদের মতে উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবারের সাথে উচ্চশর্করা বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেই শারিরীক সমস্যা তৈরি হয়। এক দিনের খাবারে যদি ১৫০ গ্রামের বেশি ফ্রুকটোজ থাকে, তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে সমস্যা তৈরি করে। কর্ন সিরাপ, জুস ড্রিংক, মধু, বা সাদা চিনি এগুলো হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে, কারণ এই জাতীয় খাবার ধমনীর ভেতর ট্রাইগ্লিসারাইডজাতীয় চর্বি তৈরি করে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকিছু গবেষণায় শর্করা বা মিষ্টিজাতীয় খাবার কোকেনের সাথে তুলনা করা হয়েছে যা কোকেনের মতোই নেশাগ্রস্ত করে মানুষকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে যারা অ্যাথলেটিকস বা ক্রীড়াবিদ তাদের ক্ষেত্রে শর্করা বা মিষ্টি কোনরূপ ক্ষতি করে না কারণ তাদের সারাদিনের পরিশ্রম বেশি হওয়ার কারণে এই জাতীয় খাবার খুব সহজেই হজম হয়ে যায়। সব দিক বিচার করে গবেষকরা প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে মিষ্টি কে বাদ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। নতুবা প্রতিদিনের খাবারে যে ক্যালরি গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে ৫ শতাংশের বেশি শর্করা না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।