সুরজিৎ দাস : ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে সুলে মুসা এই নাম টা যেন হ্যামলিনের বাঁশীওয়ালার মতো। প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা স্বপন বলের ডাকে কলকাতায় খেলতে আসা তারপর দীর্ঘদিন লাল-হলুদ জার্সি গায়ে একের পর এক ম্যাচ জেতা ২০০৩ সালের ঐতিহাসিক আশিয়ান জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। সেই সুলে মুসা দীর্ঘ ১০ বছর পর পা রাখলেন ইস্টবেঙ্গল তাবুতে দেখলেন শহর টা পালটে গেলেও পাল্টায় নি ক্লাব ইস্টবেঙ্গল পাল্টায়নি সমর্থক দের আবেগ আর ঐ লাল হলুদ রঙটা।
শতবর্ষ উপলক্ষে শহরে আসছেন একের পর এক ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী এদিন মাঠে এলেন সুলে মুসা ও এশিয়ান জয়ের অন্যতম কারিগর কেরালার ডিফেন্ডার সুরেশ। মাঠে বসে দলের খেলা দেখলেন কিন্তু জয় না দেখার আক্ষেপ টাও থেকে গেলো মুসা তো বলেই দিলেন ‘ইস্টবেঙ্গল এর সেই ঝাঝ টা আর দেখতে পাচ্ছি না যদিও অনেক তরুণ ফুটবলার রা খেলছে তবুও সেই জেদ সেই মরার আগে মরবো না মনোভাব এখন দেখা যায় না’।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের পাশে বসে গোটা ম্যাচ দেখলেই এই দুই প্রাক্তনী। এরপর ক্লাব তাবুতে বসে জমিয়ে আড্ডা সঙ্গী হলেন বিকাশ পাজি সৌমিক দে এর মতো প্রাক্তন ফুটবলার রা। কিন্তু সব কিছুর মাঝেও আক্ষেপ থেকেই গেলো স্বপন স্যারের সাথে দেখা হলো না যে। প্রয়াত কর্তার স্মৃতি চারণ করলেন মুসা বললেন তার সেই ভোকাল টনিক মাঠে নামার আগে চার্জড আপ করে দেওয়া কথাবার্তা সেগুলো খুব মিস করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে শতবর্ষের অনুষ্ঠান উপলক্ষে তারা এখানে এসেছেন এরপর আরোও প্রাক্তনী দের দেখা যাবে ক্লাবে আসবেন বাদশা মজিদ বাসকার। সব মিলিয়ে ১৩ তারিখের শতবর্ষের অনুষ্ঠান বেশ জাঁকজমক পূর্ণ হবে তা বলাই যায়।