নিউজ

ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী, জীবদ্দশায় ৩৭০ বিলোপ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম, মৃত্যুর আগে মোদীকে টুইট সুষমার!

Advertisement
Advertisement

রাজীব ঘোষ : সুষমা স্বরাজ আর নেই।এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।ঠিক তার ২ ঘন্টা আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে টুইটারে লিখেছিলেন, ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী।অনেক অনেক ধন্যবাদ।জীবদ্দশায় এই দিনটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম।টুইটার অ্যাকাউন্টটা এখনও ভীষণ ভাবে জ‍্যান্ত রয়েছে। ১৩.১ মিলিয়ন অনুসরনকারী।সুষমা স্বরাজ সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ কাশ্মীর ইস‍্যুতে টুইট করেছিলেন।তিনি লিখেছিলেন, জীবদ্দশায় ৩৭০ ধারা বিলোপ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম।

Advertisement
Advertisement

সেই জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল লোকসভাতে পাশ হয়ে গিয়েছে।তিনি জীবদ্দশাতে দেখে গিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বিধিনিষেধ আর উপত্যকায় নেই।সুষমা স্বরাজ যে বছর জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তার ঠিক পরের বছর শ‍্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মৃত্যু হয়।শ‍্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে উপত্যকায় ছুটে গিয়েছিলেন।তার আর ফেরা হয় নি।ভূস্বর্গে জনসংঘের প্রানপুরুষের এই মৃত্যু বিজেপি ভুলতে পারে নি।তার স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে।আর আজই চলে গেলেন সুষমা স্বরাজ।প্রথম মোদী সরকারের সময় সুষমা স্বরাজ বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন।দেশের অন‍্যতম অ্যাক্টিভ বিদেশমন্ত্রী ছিলেন তিনি।বিজেপি নেত্রী হিসেবে তিনি দুর্দান্ত ছিলেন।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাই টুইট করে জানিয়েছেন, সুষমা জি দুর্দান্ত নেত্রী।যেখানেই তিনি কাজ করেছেন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।অনেকের কাছেই তিনি ইন্সপিরেশন।এখানেই তিনি অন‍্যদের থেকে আলাদা। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলনেত্রীর ভূমিকা পালন করেছেন সুষমা স্বরাজ।কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অসুস্থ শরীরের জন্য সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন। ১৯৭৭ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি ক‍্যাবিনেট মন্ত্রী হন। ২৭ বছর বয়সে তিনি হরিয়ানাতে জনতা পার্টির অন‍্যতম প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন।

Advertisement
Advertisement

ইন্দিরা গান্ধীর পরে তিনিই দ্বিতীয় মহিলা যিনি বিদেশমন্ত্রীর পদে এসেছিলেন।তিনি সাতবার সাংসদ হয়েছিলেন।গত চার দশকে ১১ নির্বাচনে লড়েন,যার মধ্যে তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে জয়ী হন।১৯৯৮ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯৯৮ সালের ৩ রা ডিসেম্বর পর্যন্ত সুষমা স্বরাজ দিল্লির ৫ ম মুখ‍্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।ভারতীয় এই জননেত্রীর মুকুটে বহু সাফল্যের পালক রয়েছে, যা বারবার তার দিকে অগনিত গুনমুগ্ধদের আকৃষ্ট করেছে।এমনই জনদরদী নেত্রীর অকালপ্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া।

Advertisement

Related Articles

Back to top button