মনে পড়ে অপর্ণা সেন পরিচালিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র পারমিতা একদিনের সেই ছোট বাবলুর কথা। আশাকরি প্রত্যেকেরই মনে আছে। বাচ্চাটি সেরিব্রাল পলসি এই রোগে আক্রান্ত ছিল। চরিত্রটি ভোলার নয়। ছোট্ট একটা চরিত্রের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে মায়ের যন্ত্রণা, সংসারে তাকে নিয়ে অশান্তি এবং সমাজের নানা বাস্তব দিক। সিনেমাতে ঐরকম একটি চরিত্র দেখানো হলেও, ঐরকম কত কত বাবলু আমাদের ঘরে ঘরে জন্মায় প্রতিনিয়ত। বিয়ের পরে প্রতিটি মেয়েই চায় মা হতে।
কিন্তু এমন সন্তান জন্ম দিলে স্বাভাবিক ভাবে যে সমাজে চলা যায় না, বা নিজের মনের কষ্ট কাউকে বলা যায়না একথা সত্য। এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় স্বামীর সঙ্গে তর্ক বিতর্ক। চিড় ধরে সংসারে। স্বামী মানুষটাও স্ত্রীকে ক্রমাগত দোষারোপ করতে থাকে। কিন্তু বিষয়টা দোষারোপের নয়, সচেতনতার। কেউ কাউকে দোষ দিয়ে সুরাহা মিলতে পারে না।
এই রোগের লক্ষণ কি?
১)শিশুর ধারাবাহিক উন্নতির বিলম্ব ঘটবে, যেমন আট মাস বয়সে বসা,অথবা 18 মাস বয়সে হাটতে পারবে না।
২) শিশুটিকে গম্ভীর অথবা নিস্তেজ দেখাবে
৩) বাহু দুর্বল থাকবে।
৪)মাংসপেশির সংকোচন।
৫) হাত পা কাঁপা।
৬) সর্বদা এলোমেলো ভাবে চলাফেরা।
৭)একনাগাড়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাফেরা।
৮)কথা বলতে না পারা।
৯)পড়ালেখার অক্ষমতা।
কি কারনে এই রোগ টি হয়?
2) গর্ভাবস্থায় কোন সংক্রমনে আক্রান্ত হওয়া।
৩) জন্মের পূর্বে কার সমস্যা কোন সংক্রামক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হলে। যেমন রুবেলা চিকেন পক্স সাইটোমেগালো ভাইরাস ইত্যাদি।
৪) জন্মের পর সমস্যা সংক্রমণ হলে, মাথা মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হলে, রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে গেলে, স্ট্রোক হলে।
চেষ্টা করলে ওরা করতে পারে?
Written by – শ্রেয়া চ্যাটার্জী