জগতে অনেক ধরনের প্রাণী, কিট পতঙ্গ আছে। কিন্তু কিছু কিছু প্রাণী অনেক ইঙ্গিত বহন করে। প্রায়ই বর্ষাকালে সকলের ঘর থেকে সেন্টিপিড বের হতে দেখেছেন। কিন্তু অনেক সময় বৃষ্টি ছাড়াই বাড়ির অনেক জায়গায় সেন্টিপিড বেরিয়ে আসে। বাস্তুতে এই ধরনের মিলিপিড দেখার বিভিন্ন অর্থ দেওয়া হয়েছে। সেন্টিপিডের হঠাৎ উপস্থিতি সৌভাগ্য এবং দুর্ভাগ্য নির্দেশ করে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শতপদকে রাহুর প্রতীক মনে করা হয়। তাই ঘরে দেখা গেলেও মারবেন না, ঘর থেকে বের করে দেবেন। কথিত আছে যে শতপদকে হত্যা করা ব্যক্তির কুণ্ডলীতে রাহুর অবস্থানকে দুর্বল করে দেয়। এবং এটি তার উপর একটি অশুভ প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নিই কিভাবে শতপদ দেখতে হয় শুভ না অশুভ।
বাস্তু অবনতির লক্ষণ দেয়:-
ঘরের যে কোন অংশে মিলিপিড দেখা যায়। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে তাদের চেহারা বাস্তু দোষ নির্দেশ করে। ঘরের মেঝেতে যদি সেন্টিপিড হামাগুড়ি দিতে দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন বাড়িতে কোনও বাস্তু দোষ রয়েছে। একই সময়ে, রান্নাঘরে তাদের উপস্থিতিও বাস্তুর অবনতির ইঙ্গিত দেয়। এমতাবস্থায় তাদের তুলে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া উচিত।
এই স্থানে শতপদির অবস্থান থাকা রাহুকে দুর্বল করে দেয়:-
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বাড়ির মূল দরজার চৌকাঠ, টয়লেট এবং সিঁড়িতে মিলিপিড হামাগুড়ি দিতে দেখা যায়, তাহলে এগুলো দুর্বল রাহুর লক্ষণ। একইসঙ্গে মাথায় উঠে গেলেও তা রাহুর দুর্বল হওয়ার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, এটি ভবিষ্যতে কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এখানে থাকলে সৌভাগ্যের লক্ষণ:-
এটা নয় যে শতবর্ষী শুধুমাত্র দুর্ভাগ্য নির্দেশ করে। বরং এটি সৌভাগ্যেরও ইঙ্গিত দেয়। পূজার ঘরে মিলিপিডের দৃষ্টি সৌভাগ্যের লক্ষণ। যদি হঠাৎ কোনো সেন্টিপিড বাড়িতে হামাগুড়ি দিতে দেখা যায় এবং তারপর অদৃশ্য হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন কিছু কাজ শেষ হতে চলেছে।
মৃত সেন্টিপিড এই চিহ্ন দেয়:-
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যদি বাড়িতে একটি মৃত সেন্টিপিড দেখা যায় তবে এর অর্থ কোনও বড় বিপর্যয় এড়ানো গেছে।
এই বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য শুধু মাত্র আপনাদের তথ্য প্রদান করা। কিছু বিষদে জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এই তথ্যের দায় ভার ভারত বার্তার নয়।