Tripura Municipal Election: ত্রিপুরায় পুর নির্বাচন শুরুর আগে ‘হামলা’, আক্রান্ত তৃণমূলের প্রার্থী-পোলিং এজেন্ট

Advertisement

Advertisement

চরম উত্তেজনার আবহে আজ ত্রিপুরায় পুরভোট শুরু হয়ে গিয়েছে। কথামতো সকাল ৭টা থেকে শুরু ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। আজ আগরতলা পুরসভা, ১৩টি পুর পরিষদ-সহ  ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ হবে। মোট বুথ ৬৪৪টি।  এর মধ্যে ৩৭০টি বুথ ‘অতি স্পর্শকাতর’ এবং ২৭৪টি ‘স্পর্শকাতর’। এদিন প্রতিটি বুথে অশান্তি এড়াতে আগরতলা-সহ বিভিন্ন বুথে সিএপিএফ এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১২টিতে ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে বিজেপি। মোহনপুর, উদয়পুর, রানিরবাজার, শান্তিরবাজার, বিশালগড় পুরসভা এবং কমলপুর ও জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে নিয়েছে শাসকদল। ২০টি পুর অঞ্চলের বাকি ২২২টি আসনে হবে ভোট। গত কয়েকদিন ধরে বেলাগাম হিংসা, সুপ্রিম কোর্টে মামলার পর ভোটগ্রহণ ঘিরে চাপা উত্তেজনা আছে। বৃহস্পতিবার মোট ২২২ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ত্রিপুরাত্র পুরসভার মোট ভোটার সংখ্যার ৫.৯৪ লাখ। এদিন নিজেদের ভাগ্যপরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন মোট ৭৮৫ জন প্রার্থী।

Advertisement

ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, আগরতলার বিভিন্ন বুথের বাইরে নাকি অবৈধ ভাবে জমায়েত করছে বিজেপি। চার নম্বরের ওয়ার্ডের বাইরে এই জমায়েত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পরে সেই জমায়েত হটিয়ে দিয়েছে সেখানকার পুলিশ। কিছুক্ষণ পর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আট নম্বর বুথে বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের তরফে ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এক মহিলার হয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন একজন পুরুষ । 

Advertisement

শুধু এই নয় আগরতলায় পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্কুলে এদিন তৃণমূলের দু’জন পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল। দু’জনেরই গায়ে রক্ত দেখা গিয়েছে। তৃণমূল এজেন্টরা দাবি করেছেন, মক পোলিংয়ের সময় এজেন্টদের মারধর করা হয়। আর পুলিশ কোনো কথা বলেননি বরং নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, এক মহিলা এজেন্টের ফোনও কেড়ে নিয়েছে বিজেপির দুষ্কৃতিরা।

উল্লেখ্য, ভোটের আগের রাতেই ত্রিপুরার শাসক দলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে তৃণমূল । আমবাসায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে আগরতলার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডেও। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর বাইক বাহিনীর৷ ওপর হামলা চালিয়েছে। বিলোনিয়ায় হামলা অভিযোগ করেছে আবার সিপিআইএম। বিজেপির দাবি, বিরোধী দলের কোনো সংগঠন নেই। তাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে।