কলকাতায় তৃণমূল ভবনের সামনে কর্মীদের বিক্ষোভ, চিন্তায় শাসক দল

Advertisement

Advertisement

আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। তারপরই বাংলায় শুরু হবে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। এইদিকে রাজ্যের ২৯৮ আসনের জন্য ৬০০ টি জনসভার ছক প্রস্তুত করেছে শাসক দল। এই সপ্তাহেই প্রচারে নামছেন তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই কলকাতার বুকে শুরু হয়ে গিয়েছে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ। তাদের অভিযোগ, দলের পুরনো কর্মীদের সেই ভাবে দেখছেনা তৃণমূল । যার ফলে অভিযোগে ফুঁসে উঠতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। এইদিন তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান দলের একাংশ কর্মী। তাদের দাবি, বহুদিন ধরেই দলের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। বহুদিন ধরে এমনটা হওয়ার ও অভিযোগ এনেছেন তারা। নেতৃত্বের ঔদাসীন্য তাদের বাধ্য করেছে বিক্ষোভে সরব করেছে বলে সূত্রের খবর ।

Advertisement

তারা যে কেবল কলকাতার এমনটা নয়। মেদিনীপুর থেকে দার্জিলিং সমস্ত এলাকার মানুষ এই দিন আসে কলকাতায়। জমা হন তৃণমূল ভবনের সামনে। এমন এক পরিস্থিতিকে সামলাতে মাঠে নামেন সুব্রত বক্সি। এইদিন তিনি আশ্বাস দেন যে বিক্ষোভরত কর্মীদের সাথে আলোচনায় বসবেন তিনি।

Advertisement

এর আগে এমনটা কখনও হয়নি। কলকাতার বুকে খোদ দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ সেভাবে আগে দেখা যায়নি বলে সূত্রের খবর। এর আগেই, পুরনো দলীয় কর্মীদের কাজের দায়িত্বের দিকে নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এইদিন দলের নেতাদের বলেন পুরনো দলীয় কর্মীদের বিষয়ে যত্নবান হতে।

Advertisement

অন্যদিকে কিছু দাবি পেশ করেছেন দলের কর্মীরা। বিক্ষোভরত কর্মীদের দাবি তারা ক্ষোভের কথা সোজা বলবেন দলনেত্রীকে। দলনেত্রী ছাড়া কাউকে বলতে রাজি নন কর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে দেখার বিষয় হল এই যে, দল কি পদক্ষেপ নেবে এই কর্মীদের নিয়ে। কোন নীতি অবলম্বন করতে চলেছে জোড়াফুল শিবির? এই নীতি যতটা নির্ভর করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর, ঠিক ততটাই নির্ভর করছে পিকে এর স্ট্র্যাটেজির বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

Recent Posts