ত্রিপুরা দখলের জন্য ইতিমধ্যেই গুটি সাজাতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন স্লোগান চলে এসেছে। ত্রিপুরা কইতাছে মমতাদি আইতাছে – স্লোগান চলছে ত্রিপুরার সর্বত্র। এই স্লোগান এর উপর ভর করে একুশে জুলাই পালন করার জন্য ত্রিপুরা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এবারে সেখানেও ধীরে ধীরে সংগঠন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারে ত্রিপুরা দখলের জন্য সেখানে নামানো হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক কে। এবারে ত্রিপুরা দখলের জন্য শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, তার পাশে থাকতে চলেছেন খোদ প্রশান্ত কিশোর।
ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা আগামী মাসে কলকাতায় আসছেন। কলকাতায় তৃণমূল ভবনে আগামী নির্বাচনে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার কাজ শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রশান্ত কিশোর। এই বৈঠক থেকে ত্রিপুরা দখলের প্রথম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কে পরাস্ত করার পরে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় রাজনীতিতে এক অন্যতম বড় মুখ হিসেবে সামনে এসেছেন। এবার প্রথমে তার টার্গেট হলো ত্রিপুরা জয়।
যখন মুকুল রায় আগে তৃণমূলে ছিলেন তখন ত্রিপুরায় তৃণমূলের ৬ জন বিধায়ক ছিল বটে। কিন্তু তারপরে যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসেন মুকুল রায় তখন তৃণমূলের ত্রিপুরা সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সুবিধা গ্রহণ করে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ত্রিপুরা দখলে সক্ষম হয়। কিন্তু, এখন মুকুল রায় আবারো ঘরে ফিরেছেন। বাংলায় বিজেপিকে ভালোমতো পরাস্ত করা গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন। তাই এবারে তার পরিকল্পনা ত্রিপুরা দখল করে বিজেপিকে আরো চাপে ফেলে দেওয়া।
ত্রিপুরায় নির্বাচন শুরু হতে এখনো সময় আছে। এই সময়টাতেই ত্রিপুরায় নিজেদের সংগঠন সুদৃঢ় করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং আইপ্যাক। পাশাপাশি, ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস এবারে অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুব্রত মণ্ডলকে ত্রিপুরায় প্রচারে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। অন্যদিকে আবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, একটা দুটো আসন নিতে নয়, বরং ত্রিপুরায় সম্পূর্ণ ক্ষমতা দখল করার জন্য ঝাপাতে চলেছে তৃণমূল। একুশের নির্বাচনের ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রশান্ত কিশোর এবং আইপ্যাকের কৌশল বিজেপির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী। এবারে সেই কৌশলকেই ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।