বাংলা উচ্চারণে হোঁচট খেতেন, শুটিংয়ের আগে বর্ণপরিচয় পাঠ করতেন ‘খড়কুটো’র গুনগুন

Advertisement

Advertisement

‘খড়কুটো’-র সুবাদে তৃণা সাহা (Trina saha) টেলিটাউনের পরিচিত নাম। কিছুদিন আগেই বাংলার মেয়ে তৃণা ও তাঁর স্বামী অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য ( Nil bhattacharya) তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন এই তৃণাকেই শুটিংয়ের আগে হাতে রীতিমত বর্ণপরিচয় ধরিয়ে দিয়ে পড়তে বলেছিলেন পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তী (snehashish chakraborty)।

Advertisement

স্নেহাশিস চক্রবর্তীর প্রযোজনায় ‘খোকাবাবু’ সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তৃণার হাতেখড়ি। কিন্তু সেইসময় তৃণার বাংলা উচ্চারণ ভালো ছিল না। স্নেহাশিস চক্রবর্তী কোনোদিন কাজের সঙ্গে আপোষ করেন না। ফলে তিনি সোজাসুজি তৃণার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রণীত ‘বর্ণপরিচয়’ বইটি। তবে তৃণা সবসময়ই স্বীকার করেন তাঁর অভিনয়ের উন্নতির পিছনে স্নেহাশিসের অবদান অনস্বীকার্য।

Advertisement

সহকারী পরিচালক হিসাবে তৃণা টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। ‘আরশিনগর’-এ অপর্ণা সেন (Aparna sen) ও ‘জুলফিকার’-এ সৃজিত মুখার্জি (srijit Mukherjee)-কে অ্যাসিস্ট করেছেন তৃণা। অভিনয় করলেও তাঁর ইচ্ছা পরিচালনা করার। তৃণা জানিয়েছেন, সৃজিত মুখার্জি ও অপর্ণা সেনের কাছ থেকে পরিচালনার ব্যাপারে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন।

Advertisement

ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়রদের সঙ্গেও তৃণার সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। কৌশিক রায় (Kaushik Roy) ও চন্দন সেন (chandan sen) তৃণার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে ‘খড়কুটো’-র ‘গুনগুন’ চরিত্রটি অনেক সিনিয়র অভিনেত্রীদের টেক্কা দিয়ে পেয়েছিলেন তৃণা। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly) রীতিমতো অডিশন নিয়ে তৃণাকে সিলেক্ট করেছিলেন।