করোনাকে রুখতে ছুটির মধ্যেই ৬০০ মাস্ক সেলাই হবিবপুরের ছাত্রীদের, বিনামূল্যে বিতরন

Advertisement

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা; চারিদিকে “করোনা” ভীতি। কর্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। হবিবপুর নাইট সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় সরকারি প্রকল্প উৎকর্ষ বাংলার ভাবনায় টেলারিং বিভাগে একশ কুড়ি জন ছাত্রীর ছয় মাসের কোর্স প্রায় শেষ। সেখান থেকে শিখেছে নানা ধরনের পোশাক তৈরি। কিন্তু তা দিয়ে তো বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে না! বাজারে সঠিক দামে, পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ নেই মাস্কের। কিন্তু তাতে কি! সদিচ্ছা থাকলে, উপায় হয়ে যায়। তিন সেলাই দিদিমণিকে রাজি করিয়ে, সংস্থার দাদাদের 50 মিটার টিস্যু এনে দেওয়ার আবদার শিক্ষানবিস ছাত্রীদের। চার দিনের মধ্যে সকলে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে তৈরি হল 600 মাস্ক। সেগুলো বিতরণ করা গতকাল হলও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্থানীয় হবিবপুর বিডিও অফিস এবং রানাঘাট টু পঞ্চায়েত অফিসে।আজ বিডিও অফিসের সামনে পথচলতি সাধারণ মানুষকে নিজে হাতে বিতরণ করে ছাত্রীরা স্বাদ পেলো সংকট মুহূর্তে মেয়েদের দেশ ভক্তির অগ্নিপরীক্ষায় মাধ্যমে সৃষ্টির আনন্দ। শিক্ষিকারা পেলেন দৃষ্টান্তমূলক এই কাজের গুরুদক্ষিণা।

Advertisement

সংস্থার পক্ষ থেকে সম্পাদক প্রীতম সাধু, সভাপতি মোহন বিশ্বাস জানান ” সরকার থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য আয়োজন সার্থক হয়েছিল আগেই, তবে এক ধাপ এগিয়ে চরম বিপদসংকুল সময়ে, জনহিতকর কাজে অংশগ্রহণে সংস্থার মুখ উজ্জ্বল করলো।”পূর্ণিমা মিস্ত্রি, সুতপা সরকার, শম্পা মণ্ডল শিক্ষিকা-গন জানান “বহু ছাত্রীদের সেলাই শিক্ষা দিয়েছি, এভাবে সকলের একাগ্রতার সাথে উদ্যম দেখিনি কখনো! গর্ববোধ করি ছাত্রীদের জন্য।” ছাত্রীদের কথায় , সরকারি ট্রেনিংয়ের আয়োজন, সংস্থা, এবং দিদিমণিদের সহযোগিতা ছাড়া বঞ্চিত হতাম এ সুযোগ থেকে।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ চাঞ্চল্যকর ঘটনা কোলকাতায়, হাসপাতালের গাটের বাইরে বিক্রি হল করোনা ভাইরাসের আয়ুর্বেদিক ওষুধ

Advertisement

অন্যদিকে ভারতে করোনার প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ পেরিয়েছে। তাঁর সাথে বাংলায় ধরা পড়েছে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। ভয়ের প্রকোপ দেড়ে চলেছে মানুষের মনে। করোনার ক্ষেত্রে ভারত প্রথম শ্রেণীর দেশ হলেও তাঁর প্রভাব ধীরে ধীরে গ্রাস করছে গোটা দেশকে।