দল বিরোধী কার্যকলাপের শাস্তি! অপসারিত হল নদীয়া জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি

পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করতে নিষেধ করেছে দল

Advertisement

Advertisement

বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বারংবার দলবদল নিয়ে শাসক দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে এবার আস্তে আস্তে খেলার পাশা ঘুরছে বলে মনে করছে বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আসলে দুদিন আগেই দল বিরোধী কাজ করার জন্য বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে অপসারণ করা হয়। তারপর আবার আজ অর্থাৎ সোমবার দল বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকা ও কাজকর্মে মদত দেয়ার অভিযোগে নদীয়ার জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি পথ থেকে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আজ সকালে নদীয়া জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে দলের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তাকে সেই চিঠিতে সহ সভাপতি পদ ছেড়ে দিতে বলা হয় এবং দলীয় কোন সমাজে যোগদান করতে বারণ করা হয়। এই চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমাকে যখন এই পদে রাখা হয়েছিল তখন আমি খুশি ছিলাম না। এখন আমায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাতেও আমি অখুশি নয়।” সেই সাথে তাকে অপসারণ এর কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছেন, “আমি কোথায় বা কিভাবে দল বিরোধী কাজ করেছি তা আমার জানা নেই। আমাকে শোকজ করেনি দল। এমনকি আমাকে টেলিফোনেও কোন কথা বলা হয়নি। শুধুমাত্র চিঠিতে ডলি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে বারণ করা হয়েছে।”

Advertisement

আসলে কিছুদিন ধরেই বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা-কল্পনা শোনা যাচ্ছে। এবার তার জন্যই হয়তো দল তাকে তার পদ থেকে অপসারণ করল। আবার কিছুদিন আগে তার অঞ্চলে “আমরা বিজেপি সমর্থক বাবু চট্টোপাধ্যায়(পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়) কে” চাই না লেখা ফ্লেক্স দেখা গিয়েছিল। তখন থেকেই গুজব উঠেছিল যে নদীয়ার তৃণমূল সহ-সভাপতি হয়তো বিজেপিতে যোগদান করবেন। তবে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে আজ তিনি বলেছেন, “আমি এখনো দলেই আছি।”

Advertisement