গত বছর থেকেই বিশ্বজুড়ে প্রত্যেকটি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক। চলতি বছরের শুরুতে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আবারো পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এপ্রিল মাসের শুরুতে করোনা সংক্রমনের গগনচুম্বী গ্রাফ রীতিমতো উদ্বেগে ফেলেছে ভারতবাসীকে। বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ ১ লাখ ছাড়িয়েছে। তার ওপর গোটা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। তাই উদ্ভব ঠাকরে কিছুদিন আগেই সপ্তাহান্তে লকডাউন ও দৈনিক নাইট কার্ফু জারি করেছিল। তবে বর্তমানে জানা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে হয়তো সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে সর্বদল বৈঠকের আসরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে সম্পূর্ণ লকডাউন করার কথা বলেছেন। কারণ বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে যা দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে তার অর্ধেক সংখ্যা আসছে মহারাষ্ট্র থেকে। তাই করোনার ভয়াবহতা দিনে দিনে বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। তাই সর্বদল বৈঠকে সম্পূর্ণ লকডাউন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তাতে সায় দেয়নি শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি। সেই সাথে বিজেপি শিবিরও সম্পূর্ণ লকডাউনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। এই মুহূর্তে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে কিছুদিনের সম্পূর্ণ লকডাউন এর দরকার আছে মহারাষ্ট্রে। এই বিষয়ে আজ অর্থাৎ রবিবার কোভিড টাস্কফোর্সের সাথে বৈঠক হবে এবং তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তবে মহারাষ্ট্র এখন থেকেই অনেক সাবধান হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে থাকতেই মহারাষ্ট্রে সপ্তাহান্তে লকডাউন শুরু হয়ে গেছে। এছাড়াও কড়াকড়ি করে দেওয়া হয়েছে নাইট কার্ফুকে। বন্ধ রয়েছে সমস্ত মল, সিনেমা হল, বেসরকারি অফিস, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি। তবে তার পরেও মহারাষ্ট্রে সংক্রমনের গতি শ্লথ হয়নি। তাই সম্পূর্ণ লকডাউন এর ভাবনাচিন্তা মহারাষ্ট্র সরকারের। তবে অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের মানুষের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে বলে অনেকেই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আবারো লকডাউন চাপিয়ে দেওয়া হলে বিক্ষোভ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।