নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। এই আইনের বিরোধিতায় দায়ের হওয়া পিটিশনের প্রেক্ষিতে মোদি সরকারকে নোটিস পাঠাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে জবাব। তবে এই আইনে স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। ২২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ দেয়। বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ৬০টি আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। পিটিশন দাখিলকারীদের তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ ও অসমে বিজেপির শরিকদল অসম গণ পরিষদ।
পিটিশনগুলিতে বলা হয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের অনুমোদন কখনওই সংবিধান মান্যতা দেয় না। এই আইন সংবিধানের মৌলিক অধিকার খর্ব করে। ধর্ম নিরপেক্ষ নীতিতে এই আইন আঘাত করে বলেও দাবি করেছেন পিটিশন দাখিলকারীরা।
ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব–পথে নেমে এই আইনের বিরোধিতা করছেন অনেকেই। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোম ও মঙ্গলবারের পর বুধবারও পথে নামছেন। পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলার কবি, সাহিত্যিকরাও।
রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় একই ছবি। নাগরিকত্ব আইনকে স্বৈরাচারের নিদর্শন বলে মনে করছেন অনেকেই। ভারতের মত নিরপেক্ষ দেশে এরকম আইন কীভাবে কার্যকর করা যায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্বজ্জনেরা। এরইমধ্যে পদ্মশ্রী ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন উর্দু কৌতূকশিল্পী মুজতবা হুসেন। নিঃসন্দেহে তাঁর এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদের নজির তৈরি হল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যথিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন ৮৭ বছর বয়সি এই শিল্পী।