বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ক্রমশ তেজ কমছে সূর্যের

Advertisement

Advertisement

করোনা মহামারির কারণে এমনিতেই দিশেহারা অবস্থা বিশ্ববাসীর। এর মধ্যে আরও একটি ঘুম উড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের। সূর্যের সম্পর্কে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের একটি দাবি চিন্তায় ফেলেছে বিশ্বের তামাম মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের। মহাকাশে সূর্যের সমতুল্য অন্যান্য নক্ষত্রের তুলনা টেনে জার্মানির ওই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, সূর্যের তেজ আর উজ্জ্বলতা ক্রমশ কমছে। দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশ গবেষণার কাজে যুক্ত ওই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই কাজে তারা সাহায্য নিয়েছেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার। নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা।

Advertisement

নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আকাশ গঙ্গার অন্যান্য নক্ষত্রের সঙ্গে সূর্যের উজ্জ্বলতা তুলনা করে দেখেছেন জার্মানির ওই বিজ্ঞানীরা। ৯ হাজার বছরের দীর্ঘ একটি সময়ের ব্যবধানকে ধরেই এই গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, এই সময় কালের মধ্যে অন্যান্য নক্ষত্রগুলির তুলনায় কিছুটা কমে গিয়েছে সূর্যের আলো।

Advertisement

সূর্যের মতো দেখতে একই ধরনের অন্যান্য নক্ষত্রগুলি সূর্যের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে বলে জানিয়েছেন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষক ডঃ আলেকজান্ডার শাপিরো। তিনি আরও বলেন, ৯ হাজার বছর পূর্বে সূর্যের সক্রিয়তা কেমন ছিল, তা নির্নয় করার মতো কোনও উপায় নেই বিজ্ঞানীদের কাছে। তাই সূর্যের সঙ্গে সমসাময়িক অন্যান্য নক্ষত্রদের তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে সূর্যের মধ্যে এই পরিবর্তন এসেছে, কমে গিয়েছে সক্রিয়তা সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

Advertisement