‘এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ কোটির সম্পত্তি, যার সিংহভাগই বাংলা থেকে’, জানাল রেল

Advertisement

Advertisement

জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছে দেশ। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধতার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারতের কোণায় কোণায়। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Advertisement

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আগুন জ্বললেও সরকারি সম্পত্তি লক্ষ্য করে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ মূলত পূর্ব ভারতেই সীমাবদ্ধ ছিল। তার মধ্যে আন্দোলনের সূচনা ভূমি অসমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুবই সামান্য। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পূর্ব ভারতে মূলত রেলকে লক্ষ্য করে তান্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব রেলের ব্যাপক সম্পত্তি। সমস্ত হিসেব নিকেশ শেষ ভারতীয় রেল তুলে ধরলো সেই ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান।

Advertisement

আরও পড়ুন : দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই CAA-র সমর্থনে ট্যুইটারে প্রচার শুরু প্রধানমন্ত্রীর

Advertisement

ভারতীয় রেলের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এদিন তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে। তিনি জানান, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে চলা তান্ডবে ভারতীয় রেলের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি। যার মধ্যে মাত্র ১০ কোটি উত্তর পূর্ব রেলের সম্পত্তি। বাকী ৭০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তি পূর্ব রেলের অংশ।’ এই ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির সিংহভাগই যে বাংলার মানুষের জন্য হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে তাঁর বক্তব্যে।

যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, আন্দোলনে নেমে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার উদ্দেশ্যে বিধানসভায় বিল পাস করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। অথচ এই বিক্ষোভকারীদের বেলায় অদ্ভূত ভাবে নীরব তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই এই বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।