মঙ্গল গ্রহে পাওয়া গেছে রহস্যজনক এক ছিদ্রের সন্ধান, ঠিক কি বলছে নাসার বিজ্ঞানী? জেনেনিন

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : পৃথিবীতে প্রাণের সন্ধান পাওয়া, তারপরে বসতি গড়ে তোলা সবই যেন মনে হয় ঈশ্বরের সৃষ্টি। মহাকাশের কোন  অলৌকিক শক্তি বলে সৃষ্টি হয়েছিল তা কারো জানা নেই। পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহ নিয়ে অনেকদিন ধরেই চর্চা শুরু হয়েছে, তবে এখন নাসা মঙ্গল গ্রহের গায়ে একটি রহস্যজনক গর্ত আবিষ্কার করেছেন। এই ছবিটি প্রথম ২০১১ সালে মার্স রিকনোসান্স অরবিটার দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিজ্ঞানীরা এরপর থেকে এটি অধ্যায়ন করতে শুরু করেছিলেন।

Advertisement

নাসার বিজ্ঞানী রবার্ট নিমিরফ এবং জেরি বনেল ছবিটি বিশ্লেষণ করে বলেন, এগুলি প্রায় ২০ মিটার গভীর, পাভোনিস মনসের মতে, এর এই গর্ত সম্ভবত ভবিষ্যতের রেড প্ল্যানেট এর কাছে বিদেশি শিকার মিশনের লক্ষ্যবস্তু হবে।

Advertisement

এই লাল গ্রহ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

Advertisement

১) মঙ্গল গ্রহ সূর্য থেকে চতুর্থ গ্রহ।

২) রোমান মতে, যুদ্ধের দেবতার নামানুসারে তার নামকরণ করা হয় ।

৩)মঙ্গল গ্রহকে পৃথিবীর পরে দ্বিতীয় সবচেয়ে বাসযোগ্য গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

৪) সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ৬৮৭ দিন সময় নেয়।

৫) এখনো অব্দি মঙ্গলে ৩৯ টি মিশন হয়েছে যার মধ্যে ১৬ টি সফল।

৬) গ্রহটি অনেক বেশি ধুলোময় এবং ঠাণ্ডা, অনেকটা মরুভূমির মতো। গবেষকদের মতে বহু বছর আগে, গ্রহটি অনেক বেশি আদ্র, গরম ছিল।

মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যাবে কি যাবে না এই নিয়ে অনেকদিন থেকেই জল্পনা তুঙ্গে। তবে পৃথিবীর এখন যা পরিস্থিতি পৃথিবী কত দিন টিকে থাকবে সেটাই যথেষ্ট চিন্তার একটা কারণ। তার কারণ তো বোধহয় আমরাই, কারণ আমাদের জন্যই গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কুপ্রভাবে পৃথিবী আজ ধ্বংস হতে শুরু করেছে। তাই আলাদা বাসস্থানের জন্য মঙ্গল গ্রহের প্রয়োজন হবে কিনা তা কিন্তু আমাদের এখনো কারো জানা নেই। তবে শেষ পর্যন্ত যদি মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সঞ্চার পাওয়া যায় তাহলেও বিষয়টা মন্দ হবে না।

Recent Posts